ছবি:সংগৃহীত
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীতে অফিসার্স কল্যাণ সমিতির যাত্রা শুরু ১৯৯৩ সালে। প্রথমদিকে নির্বাচনের পরিবর্তে সিলেকশনের মাধ্যমে নির্ধারিত হতো সভাপতি-সম্পাদক সহ কার্যনির্বাহী কমিটি।
২০১৩ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ঐ নির্বাচনে সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হন মঞ্জুর খান ও ওয়ালিদ হোসেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রায় একযুগ পর আবারো নির্বাচনের মাধ্যমে এগারো সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হল। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড অফিসার্স কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন।
সর্বোচ্চ ৩৬টি ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন ভান্ডার শাখার উপ-সচিব দুরুল হোদা। ৩৫টি ভোট পেয়ে কলেজ শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম নবী সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন । কোষাধ্যক্ষ আর সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক পদ দুটোতে কোন প্রার্থী না থাকায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন যথাক্রমে মোহা. আজাহার আলী ও মাসুদ রানা।
অন্যদিকে, ৩৭ টি ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি পদে নিবৃাচিত হন আবু দারদা খান, সহ-সম্পাদক পদে ৪২টি ভোট পেয়ে নিবৃাচিত হন আরিফুজ্জামান সরকার, ৪৩টি ভোট পেয়ে দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন গোলাম ছরওয়ার। কার্যনির্বাহী পদে নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন, মসিউর রহমান ও রফিকুল ইসলাম।
শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট শফিকুল ইসলাম প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন গোলাম আজম মাখন ও সামসুল আনোয়ার। ভোটগণনা শেষে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর আ.ন.ম. মোফাখখারুল ইসলাম ও বোর্ড সচিব প্রফেসর ড. শামীম আরা চৌধুরী সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার শফিকুল ইসলাম জুয়েল। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৭০টি। প্রত্যেকেই নিজেদের ভোট দেন। আটটি পদের বিপরীতে ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন মোট আঠোরো জন প্রার্থী।
সাধারণ সম্পাদক পদে অংশ নেয়া দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট সমান হবার কারণে বিভ্রান্তিতে পরেন নির্বাচন কমিশনার। অবশেষে শেথ মাসুদ আলী মৌখিক ও লিখিতভাবে গোলাম নবীকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা দিয়ে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
ফলাফল ঘোষণা শেষে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর আ.ন.ম. মোফাখখারুল ইসলাম ও বোর্ড সচিব প্রফেসর ড. শামীম আরা চৌধুরী উপস্থিত বক্তব্যে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর উৎসবমুখর পরিবেশে পরিচ্ছন্নভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারি প্রত্যেকেই নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা রাখে। প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা সেটিকেই ইঙ্গিত করে। নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নেতৃত্বে আসলেন; তাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। সকলের মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্ব আপনাদের উপর বর্তালো। আজকের দিনক্ষণটি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।
এই নিবৃাচনের মাধ্যমে বোঝা গেলো, এই শিক্ষা বোর্ডে প্রত্যেকেরই জনপ্রিয়তা আছে। সবাই যোগ্য প্রার্থী ছিলেন। সমান সংখ্যক ভোট পেয়ে সম্পাদকে পদ থেকে একজন বিজয়ী নিজেকে প্রত্যাহার করার মধ্যদিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে বিজয় ঘোষিত করে মহানুভবতার দৃষ্টি রাখলেন। এটা শিক্ষা বোর্ডে একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। শিক্ষা বোর্ড সেবা প্রদানকারি একটি প্রতিষ্ঠান। তাই, সেবারমান বৃদ্ধিতে আরো বেশি মনোনিবেশ দিতে হবে। নির্বাচনের জন্য আজকের প্রাত্যহিক সেবাতে যেটুকু ভাটা পড়েছিল আগামী কর্মদিবসে সেটি পুষিয়ে দেবার চেষ্টা করতে হবে।
শিক্ষা বোর্ডে কর্মরতরা জানান, দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে অফিসার্স কল্যাণ সমিতির কার্যালয়টি ছিল মৃত্যুপুরি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যালয়ের আবারো দোয়ার খুললো সমিতির অফিসটির। আবারো প্রাণ ফিরে পাবে কল্যাণ সমিতির অফিসটি। কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদক বলেন, দীর্ঘ সময় পর অফিসার্স কল্যাণ সমিতি আবারো তাদের পথচলার গতি ফিরে পেলো। তাই এখন থেকে শিক্ষা বোর্ডে কর্মরতদের নায্য অধিকার আদায়ে একত্রে কাজ করতে হবে। পূর্বের ন্যায় যেনো নিজেদের মধ্যে কোন দূরত্ব সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুব ও সম্পাদক আজাদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh