লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দওপাড়া ইউনিয়নের বড়ালিয়া গ্রামে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রবাসী ফারুক হোসেনের পরিবার হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, মৃত হাফিজ উল্যা মিয়ার দখলকৃত ভিটার চারপাশে নিরাপত্তার জন্য তারা সম্প্রতি তারকাঁটার বেড়া দেন। কিন্তু গতকাল রাতে প্রতিপক্ষরা ওই বেড়া ভেঙে ফেলে। এর আগেও দিনের বেলায় সীমানা পিলার ভাঙচুর করা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে বহুবার সালিশ হলেও প্রভাবশালীরা তা মানছেন না।
পরিবারের অভিযোগ, প্রতিপক্ষরা প্রথমে চলাচলের পথ নিজেদের আয়ত্তে নেয়। এরপর এখন ফারুক হোসেনের তারকাঁটা বেষ্টিত বাগান দখল করে সেটিকেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে দাবি করছে। এতে তাদের বসতভিটা ও বাগান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রবাসী আবদুর রহিমের স্ত্রী সুলতানা আক্তার জানান, আমার স্বামীসহ আমার আমার পরিবারের অপরাপর পুরুষ সদস্যরা প্রবাসে থাকেন। অভিযুক্তদের অত্যাচারে আমরা সব সময় ভীত থাকতে হয়। আমাদের জমি নিয়ে তারা বিভিন্নভাবে আমাদেরকে হয়রানি করছে।
এ সময় প্রবাসীদের মা রহিমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমাদের বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য নেই। আমার তিন ছেলে সবাই প্রবাসে থাকায় আমাদের নারীদেরকে তারা বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে ও আমাদের সম্পদ জবরদখল করছে। গতকাল প্রতিবেশী সোলেমান ও খোরশেদ আমাদের বেড়া ভেঙে দিয়েছে।”
তবে অভিযুক্ত সোলেমান ও খোরশেদ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, জমি নিয়ে বিরোধ প্রায় ৩০ বছর ধরে চলছে। ২০২২ সালের সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা বসবাস করছেন। তাদের দাবি, বেড়া দেওয়া হয়েছিল রাস্তায় জোরপূর্বকভাবে। তবে বেড়া ভাঙার বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রনি বলেন, “আমরা কাগজপত্র যাচাই করে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম। তিন পক্ষের মধ্যে সোলেমান গং ও ইউসুফ গং সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও ফারুক গং তা মানেননি।”
এ বিষয়ে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ জিয়া জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
স্থানীয়দের আশঙ্কা, দীর্ঘদিনের এ জমি বিরোধের সমাধান না হলে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।