কিশোরগঞ্জে বন্য বানরের আক্রমনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শহরের বত্রিশ এলাকার নূরানী সড়কের স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঐ এলাকায় বন্য বানরের কামড়ে মো. নূর মিয়া (৮) নামের এক স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ তিন শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। এতে আতঙ্কে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা শিশু শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার শহরের জেলা স্মরণী নূরানী মসজিদ সংলগ্ন একটি বাড়িতে এঘটনা ঘটে। মো. নুর মিয়া বত্রিশ নূরানী সড়কের মো.ওবায়দুর রহমান রনির ছেলে।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত নূর তার বাড়ির পাশের একটি ছাদে বেশ কয়েকজন বন্ধু নিয়ে খেলা করছিল। এমন সময় একটি বানর নূরের পা কামড়ে ধরে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে। এরপর থেকে ঐ এলাকার শিশুদের আতঙ্কে দিন কাটছে।
শিশুটির মা জানায়, আমার ছেলে নূরসহ আরো কয়েকজন আমার বাড়ির পাশের একটি ছাদে খেলা করছিল। হটাৎ তাদের চিৎকার শুনতে পেলে আমি দৌড়ে যাই দেখি একটি বানর আমার ছেলের পা কামড়ে ধরে আছে। সাথে সাথে আরো লোকজন চলে আসলে বানরটি পালিয়ে যায়।
বত্রিশ নূরানী সড়কের বাসিন্দা মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বানরের আক্রমনে আমরা বত্রিশবাসী অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে তিনটি শিশুকে কামড়িয়েছে। আমরা বানরের ভয়ে চিন্তিত। আমাদের ছেলে মেয়ে বানরের ভয়ে ঘরের বাহিরে বের হতে পারে না। স্কুলে যেতে ভয় পায়। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে এর প্রতিকার চাই।’
একই এলাকার মো. সোহেল মিয়া নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমাদের এলাকার যে সকল বাচ্চা রয়েছে তারা বানরের ভয়ে তিন চারদিন যাবৎ ঘর থেকে বের হতে পারে না। গত কয়েকদিন আগে আমার শ্যালকের ছোট ছেলেকে কামড়িয়েছে। আমার ছেলেকেও কামড়িয়েছে সাত থেকে আট মাস আগে। বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরে মাধ্যমে আমরা তার প্রতিকার চাই।’
এ ধরণের বন্য বানর যাতে সাধারণ মানুষের প্রতি আক্রমন না করতে পারে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারে সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের মাধ্যমে তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।