ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক। রাজধানী থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত যান চলাচলের প্রধান এ সড়কটির সীতাকুণ্ড অংশকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে রড তৈরির কারখানা। এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটছে, অন্যদিকে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমের কারণে সড়কজুড়ে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নানা ঝুঁকি।
১৮আগষ্ট (সোমবার) উপজেলার মগপুকুর এলাকায় জিপিএইচ ইস্পাত সংলগ্ন মহাসড়কে স্ক্র্যাপ বোঝাই একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডে উঠে পড়ে। সৌভাগ্যক্রমে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এ ঘটনায় আবারও মহাসড়কে স্ক্র্যাপ পরিবহনের অনিয়ম ও ঝুঁকির বিষয়টি সামনে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, সীতাকুণ্ডের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই খোলা লরিতে স্ক্র্যাপ বহন করে। এর ফলে রাস্তায় লোহার টুকরা পড়ে যানবাহনের চাকা পাংচার হওয়া, দুর্ঘটনা ঘটানো কিংবা পথচারীর মাথায় পড়ার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। অনেকে এ কারণে প্রাণও হারিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম–ঢাকা মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে বিএসআরএম, জিপিএইচ, একেএস, আরএসআরএমসহ বড় বড় ইস্পাত কারখানা রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের কারণে একদিকে সীতাকুণ্ডের শিল্পায়ন ঘটছে, তবে অন্যদিকে খোলা ট্রাক ও লরিতে স্ক্র্যাপ পরিবহন এবং নিয়মবহির্ভূত গাড়ি চলাচল প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনা ও যানজটের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, “শিল্প-কারখানা সীতাকুণ্ডবাসীর বুকের ওপর গড়ে উঠেছে, তারা ব্যবসা করছে ঠিকই, কিন্তু সড়কের নিরাপত্তা ও স্থানীয়দের কষ্টের দিকটা কোনো প্রতিষ্ঠানই বিবেচনায় নিচ্ছে না।”
স্থানীয় প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খোলা লরিতে স্ক্র্যাপ পরিবহন বন্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। তবে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্বশীল হতে হবে বলেও মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।