গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে হোটেল মালিকের ছেলেসহ এক নারীকে গুলি করার ঘটনায় ব্যবহৃত পিস্তল, দুই রাউন্ড তাজা গুলি ও দুই রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বুজরুক রুহিয়া গ্রামের হামীম আদনান ফিশারী গেটের পাকা চেকপোস্ট ঘরের পেছনে মাটি খুঁড়ে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র হলো SEMI AUTO PISTOL T-54- YEAR-2003, CHINA 49012631, এর সঙ্গে দুই রাউন্ড তাজা গুলি ও দুই রাউন্ড খোসা। উদ্ধারকৃত মালামাল থানায় আনা হয়েছে।
সাদুল্লাপুর থানার এসআই (নিঃ) মো. আব্দুস সবুর জানান, আদালতে আত্মসমর্পণ করে আসামি গোলাপ প্রামাণিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। গত ১৪ আগস্ট সাদুল্লাপুর থানায় দায়ের করা মামলা (মামলা নং-১৫) আসামি গোলাপ। বুধবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় গোলাপ আদালতের হাজতে থাকাকালে তার দেওয়া তথ্যে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. তাজ উদ্দীন খন্দকার বলেন, 'আসামির দেওয়া তথ্যে একটি পিস্তল, গুলি ও খোসা উদ্ধার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ অস্ত্র দিয়েই হোটেল মালিকের ছেলে ও নারী কর্মচারীকে গুলি করা হয়েছিল। উদ্ধার করা অস্ত্র ও গুলি থানায় রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।
অভিযুক্ত গোলাপ প্রামাণিক (৩৬) সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চক দারিয়া গ্রামের মৃত তয়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি আওয়ামী জাতীয় শ্রমিক লীগের সাদুল্লাপুর শাখার সক্রিয় কর্মী এবং পলাশবাড়ী উপজেলা রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া গোলাপ সাবেক এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতির 'পাতানো ভাগিনা' বলেও পরিচিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের নাপিতের বাজার এলাকার একটি হোটেলে নাস্তার বিল ও আগের বকেয়া টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গোলাপ মিয়া পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে হোটেল মালিকের ছেলে অসীম মিয়া (১৭) ও নারী কর্মচারী সেলিনা বেগম (৪২) গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনার পর গোলাপ ওই পিস্তুলটি হামীম আদনান ফিশারী গেটের পাকা চেকপোস্ট ঘরের পেছনে মাটি খুঁড়ে পুতে রেখে পালিয়ে যায়।