রাজশাহীর দূর্গাপুরে নারী সিন্ডিকেটের হাত থেকে বাঁচতে পার্শ্ববর্তী মোহনপুর উপজেলায় গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী একটি পরিবার।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধায় মোহনপুর উপজেলা ঐক্য প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভুগী পরিবার জানান, রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার জনৈক আমজাদ আলীর কন্যা দুই সন্তানের জননী (২৬) অর্থের লোভে একই গ্রামের ওমর আলীর পুত্র ফারুক হোসেনের বাড়িতে গত ১৬ আগস্ট বিয়ের দাবীতে অনশনের নাটক শুরু করেন। এই মেয়ের মাধ্যমে অর্থের জন্য এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারীরা যোগ দিয়ে হুমকি প্রদান করছে ভুক্তভোগী পরিবারকে। পরে ছেলের মা বিমলা বিবি দূর্গাপুর থানায় গেলে নারী সিন্ডিকেটের লোকজনের বাঁধায় থানায় ঢুকতে না পেরে ফিরে আসেন। বর্তমানে আইনগত সেবা না পাওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী ফারুক হোসেনকে আর তার পরিবার খুজে পাচ্ছে না। তাই নিরুপায় হয়ে জেলার মোহনপুর উপজেলায় গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয় ছেলের বাবা-মা ও ভগ্নিপতি।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো জানান, ফারুকের বিয়ে ঠিক করা হলে এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফজলু, রিয়াজুল, গোলাম মোস্তফা, হেলাল, মেয়ের ভাই ইসাহাক ও আরমান আলী, মেয়ের বাবা আজাদ আলী, মুস্তাকিমসহ সকলে মিলে দুই বাচ্চার মা আশুরা খাতুনকে গত শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করিয়ে থাকে। আমরা তাদের আচরণে ভয় পেয়ে তাদের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে তারা বলে নগদ দুই লাখ টাকা আমাদের দিলে আমরা আর সমস্যা করবোনা, না হলে আমরা ফারুকের সঙ্গে তোমাদেরও খবর করে দিবো। আমাদের পক্ষ থেকে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আমরা আর ফারুককে খুজে পাইনা। দূর্গাপুর থানায় গিয়ে আমরা আইনগত সহযোগিতা চাইতে গেলে থানার গেট থেকে মেয়ের ভাইসহ এই সকল দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের ভয় দেখিয়ে ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের পরিবারের সকল কে নানান ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আইনের সহযোগিতায় মুক্তি চাই। আমাদের পক্ষে যেহেত্যু টাকা দেওয়া সম্ভব নই, তাই আইনের সহযোগিতা ছাড়া আমাদের যেকোন সময় এই বাহিনীরা প্রাণে মেরে ফেলবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছেলের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মেয়ের বংশের অনেকেই একাধিক বিয়ে ছাড়াও মানুষকে নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে থাকে। এবার তাদের নজর পড়েছে আমার শ্বশুর বাড়ির দিকে। তারা টাকার জন্য আমার শ্বশুর বাড়ির প্রত্যেককে হুমকি দিচ্ছে। আমার ছেলেকে তারা মেরে ফেলছে কি না, তাও আমরা বুঝতে পারছি না। এখন আইনগত পদক্ষেপের জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন করছি।