মৌভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালে কুয়েত সরকারের অর্থায়নে গ্রহণ করা প্রকল্পে ১৯৮১ সালে মৌলভীবাজারে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ব্যবস্থা ও পানি নিষ্কাশন এই তিনটির সমন্বয়ে সর্বপ্রথম প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, যুগান্তকারী ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলো আগে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগরের কৃষি জমিতে যেখানে এক ফসল হতো এখন সেখানের কৃষি জমিতে তিনবার ফসল উৎপাদন হয়। এটা শুধু জিয়াউর রহমান এর খাল কাটা কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ ছিলনা, তিনি খাদ্য দিগুণ উৎপাদনের লক্ষ্যে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে পানি যাতে সহজে নিষ্কাশন হয় সেই কারণে এই মনু প্রকল্প তাঁর সময়ে বাস্তবায়ন করা হয়। তিনি সরাসরি মৌলভীবাজার এসে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন ঘুরে দেখেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের বেরিরপাড় এলাকায় জেলা ট্রাক, পিকআপ ট্যাংকলরী মালিক সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা বিএনপির শীর্ষ এই নেতা।
আওয়ামীলীগ নেতাদের সমালোচনা করে ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, আওয়ামীলীগ কথা দিয়ে কথা রাখেনা। এরা কথা রাখার মানুষ না। এরা ওয়াদার বরখেলাপ করে। ভোট আসলে তারা একা ভোট করতে চায়। বিনা ভোটে পাস করতে চায়। নৌকা প্রতীক পেলে তারা বলে জনগণের দরকার কী আমরা তো এমনিতেই ফাস। এটা তাদের অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী মনোভাব।
জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী পিকআপ,কর্ভাডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি সেজুল আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ, পৌর বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ মমসাদ আহমদ, বিএনপি নেতা ও মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনসুর আহমেদ, চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজমল হোসেন তরফদার।
সভায় ট্রাক ও ট্যাংকলরী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা প্রথমবারের মতো মালিক সমিতি হওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের কোন নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নেই, ট্রাক, পিকআপ ও ট্যাংকলরী রাখার জায়গা না থাকায় দুর্ভোগ হচ্ছে। এটার স্থায়ী সমাধান চান তারা।