ছবি: সংগৃহীত
রংপুরের বদরগঞ্জে নকল সরবরাহ করা সেই প্রভাষক শাফিকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত শনিবার বদরগঞ্জ ওয়ারেছিয়া ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘটনায় মাদ্রাসা থেকে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে আরবি বিভাগের প্রভাষক নাজমুল হুদাকে, আর সদস্য করা হয়েছে অভিভাবক সদস্য মোসলেম উদ্দিনকে।
১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রের সচিব ও অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক বলেন, ‘প্রভাষক শাফিকুল ইসলাম নকলসহ গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটকের ঘটনায় কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেন না কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম।
ওই দুই শিক্ষক আরও বলেন, ‘কেন্দ্র সচিবের যোগসাজস ছাড়া কখনই প্রশ্নপত্র বাইরে পাচার হওয়ার সুযোগ নেই। সঠিক তদন্ত হলে তিনিসহ ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আতাউর গণি ধরা খাবেন। মূলত তাদেরকে বাঁচাতে গভর্নিং বডি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে।
গত ১৭ আগস্ট নকলসহ প্রভাষক শাফিকুল গ্রেফতার, স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকে ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে গেলে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন,ওই মাদ্রাসার গভর্নিং বডি আলাদা। এটা তাদের দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, ঢাকা মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ওই মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা চলছিল। সেখানে কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের যোগসাজসে দু’তিনজন শিক্ষক পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করে আসছেন-এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। ওইদিন ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলাকালে দুপুর ১২টার দিকে ওই মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক শাফিকুল ইসলামের কোনো দায়িত্ব না থাকলেও তিনি কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
এ সময় কেন্দ্রের প্রধান ফটকে তাকে আটক করেন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। তার শরীর তল্লাশী করে পঞ্জাবির পকেট থেকে ১২৬ সেট ইংরেজির উত্তরপত্র (নকল) উদ্ধার করা হয়।
বাদী হয়ে ওইদিন প্রভাষক শাফিকুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম। পরদিন শুক্রবার পুলিশ শাফিকুলকে আদালতে তুললে আদালতের বিচারক তাকে জামিন দেন। শাফিকুল জামিনে আদালত থেকে বের হওয়ার সময়ে ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী তার গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।
অভিযোগ আছে, গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে মেজবাউলের বাড়িতে প্রশ্নপত্র নিয়ে গিয়ে ইংরেজি প্রভাষক আতাউর গণি হাতে উত্তরপত্র লিখে তা সেখানে ফটোকপি করে প্রভাষক শাফিকুলের হাতে তুলে দেন। আতাউর গণি ও শাফিকুল ইসলাম ভায়রা ভাই এবং দু’জনেই কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ আব্দুর আলীমের ভাতিজি জামাতা বলে জানা গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh