× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধন

আতিকুর রহমান আতিক, গাইবান্ধা

২০ আগস্ট ২০২৫, ২০:২৬ পিএম

ছবি: সংবাদ সারাবেলা

গাইবান্ধার হরিপুর–চিলমারী সংযোগকারী তিস্তার বুকে নির্মিত বহুল প্রত্যাশিত ‘মওলানা ভাসানী সেতুর’ স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সেতুর উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

উদ্বোধনের পর দোয়া ও মোনাজাত  হয় এবং সুন্দরগঞ্জের হরিপুর প্রবেশমুখে ফিতা কেটে সেতুর দ্বার খুলে দেওয়া হয়। এসময় উৎসুক জনতার ভিড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। পরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ গাড়িতে উঠে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসীর সঙ্গে করমর্দন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এলজিইডি কর্মকর্তা এবং সেতু নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

উদ্বোধনের আগে থেকেই সেতু এলাকায় তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। ভোর থেকেই দুই জেলার হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায় তিস্তা পাড়ে। পরিবারের সঙ্গে বা দল বেঁধে তারা আসেন জীবনের ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়ায় উচ্ছ্বাস ও গর্বে মুখর হয়ে ওঠে জনতা।

২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নানা জটিলতা ও একাধিকবার তারিখ পরিবর্তনের পর অবশেষে ১১ বছর পর এ স্বপ্নের সেতু চালু হলো।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, সৌদি সরকারের অর্থায়নে ও চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই সেতুর ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা। দৈর্ঘ্য: ১৪৯০ মিটার

প্রস্থ: ৯.৬ মিটার, অবকাঠামো: ৫৮টি বক্স কালভার্ট ও ৯টি আরসিসি সেতু, সংযোগ সড়ক: প্রায় ৮০ কিলোমিটার এটি দেশের ইতিহাসে এলজিইডির সবচেয়ে বড় প্রকল্প।

সেতুটি চালু হওয়ায় সরাসরি সংযুক্ত হলো বেলকা বাজার, পাঁচপীর, ধর্মপুর, হাট লক্ষ্মীপুর, সাদুল্যাপুর ও ধাপেরহাটসহ অন্তত ১০টি বাজার। এর ফলে স্বল্প খরচে কৃষি ও শিল্পপণ্যের পরিবহন সম্ভব হবে এবং গড়ে উঠবে ছোট-মাঝারি শিল্প কারখানা।

ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি ভুরুঙ্গামারী স্থলবন্দরের দূরত্বও ৪০–১০০ কিলোমিটার কমবে। পাশাপাশি পর্যটন খাতেও আসবে নতুন সম্ভাবনা।

এদিকে, সেতুর নামকরণ নিয়ে স্থানীয় অনেকের  মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ। তাদের দাবি, মুক্তিযোদ্ধা ও সেতুর স্বপ্নদ্রষ্টা শরিতুল্যাহ মাস্টারের নামে এ সেতুর নামকরণ করা উচিত ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি আন্দোলন চালিয়ে ‘তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করেছিলেন। তার নিরলস প্রচেষ্টাতেই সেতুটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

তবে সরকার গত ১০ আগস্ট সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতুর নামকরণ করেছে ‘মাওলানা ভাসানী সেতু, গাইবান্ধা’।

সব বিতর্ক ছাপিয়ে দুই পারের মানুষ এখন উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে আজ থেকে শুরু হলো গাইবান্ধা–কুড়িগ্রাম অঞ্চলের মানুষের নতুন যাত্রা।


Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.