বান্দরবানে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন ক্যহ্লাওয়াং মারমা, উহাইসিং মারমা ও ক্যসাইওয়াং মারমা। তাদের বাড়ি পাইন্দু ইউনিয়নের, পাইন্দু হেডম্যান পাড়ায় বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার ভোররাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, লেখা পাড়ার সুবিধার্তে অন্যান্য বান্ধবীদের সাথে একটি পরিত্যক্ত স্কুলে থাকত ওই ছাত্রী।
শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে “কথা আছে” বলে চার যুবক তাকে ওই পরিত্যক্ত স্কুল থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকের পিছনে নিয়ে গিয়ে চারজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে পরের দিনে আরেকজন ধর্ষণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক সপ্তাহে ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে একই গ্রামের পাঁচ যুবক এক মেয়েকে ধর্ষণ করলে বিষয়টি তার বন্ধুদের জানায়। এরপর তারা সবাই মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। সম্প্রতি মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি পরিবারের কাছে প্রকাশ করে।
ঘটনার পর মঙ্গলবার স্থানীয়ভাবে এক সামাজিক বিচার বসে। সেখানে পাইন্দু মৌজার হেডম্যান মংচউ মারমা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা গংবাসে মারমা অভিযুক্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন পরে চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে বলে জানান বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দি বলেন, ‘তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’
এলাকার সাধারণ মানুষ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা জানান, সামাজিক বিচারের নামে এমন জঘন্য অপরাধকে অর্থ দিয়ে মীমাংসা করা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধকে উৎসাহিত করবে।