কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে হিমেল মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ি ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বৌলাই এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা যুবদলের সহ-তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আলী আব্বাস রাজন এবং সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এমদাদুল হক তারা দুইনজনই বৌলাই এলাকার বাসিন্দা। গত ৫ আগস্ট থেকে তাদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এক সপ্তাহ আগে মাদক সেবনের সময় দুই গ্রুপের কয়েকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পরদিনও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বিরোধের জের ধরেই শুক্রবার সকালেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।
সংঘর্ষ চলাকালে হিমেল মিয়া নামের এক কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। একই সময়ে গুলিবিদ্ধ হন তার ভাই রাজীব মিয়া। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে হিমেলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত হিমেল যুবদল নেতা রাজন মিয়ার খালাতো ভাই এবং গুলিবিদ্ধ রাজীব তার সহোদর।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিহতের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’