জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাকিমপুর কৈজুরি বেগম নুরজাহান রিয়াজ (বিএনআর) উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মোঃ গোলাম রসুল দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও ইএফটি'র মাধ্যমে নিয়মিত সরকারী প্রদত্ত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন।
গোলাম রসুল একটি হত্যা মামলার আসামী থাকায় গত ৮ মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে। বিনা ছুটিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় কর্তৃপক্ষ ঐ শিক্ষককে বার বার নোটিশ দিলেও কোন সাড়া মেলেনি তার। একারণে তার অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পাঠদানে ব্যহত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী লিমা আক্তার ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী গাওছুল আজম মুরাদ জানায়, কৃষি শিক্ষক আট মাস থেকে বিদ্যালয়ে আসে না। মাঝে মধ্যে প্রধান শিক্ষক ক্লাস নিলেও অনেক ক্লাশ হয় না। এ কারণে আমাদের কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রত সময়ের মধ্যে শিক্ষক গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হোক ।
এ বিষয়ে গোলাম রসুলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কৃষি গোলাম রসুল দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে আমরা বিভিন্ন ভাবে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাইনি। সে কারণে বিধি মোতাবেক তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। সেখানে জবাব না পাওয়াই আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অবহিত করলে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি তদন্ত পূর্বক তাহার বেতন ভাতা বন্ধের সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে তদন্তের আলোকে জেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করলে বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে তিনিও তার বেতন বন্ধের সুপারিশ করেন। বর্তমানে ইএফটি মাধ্যমে তাকে প্রদত্ত বেতন ভাতা বন্ধের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে।