প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা - পিরোজপুর, ঢাকা- খুলনা, কাটাখালি - মংলা মহাসড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ফকিরহাট, নওয়াপাড়া কাটাখালি, সাইনবোর্ড বাস স্ট্যান্ড, মোল্লাহাট ব্রিজ, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে অবস্থান গ্রহণ করবে বাগেরহাটবাসী। এছাড়া চিতলমারী উপজেলাবাসী নাজিরপুর - পাটগাতী সড়কে অবস্থান গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র পরিবহনে যুক্ত যান, জরুরী ঔষধ পরিবহন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বহনকারী যান এই অবরোধের আওতা মুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।
বাগেরহাট বাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনারের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ঢাকা অবরোধ সফল করার লক্ষ্যে রবিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সকল প্রকার যানবহন সড়ক-মহাসড়কে চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকা ভিত্তিক নির্বাচনী এলাকা সমূহের পূর্ণ বিন্যাস করেন।বাগেরহাট - ৩ সংসদীয় আসন বিলুপ্ত করে মংলা উপজেলাকে মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা উপজেলার সাথে সংযুক্ত করে। সেই সাথে বাগেরহাট সদর উপজেলা ও কচুয়া উপজেলার সাথে রামপাল সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফুসে ওঠে বাগেরহাটবাসী।
ঐদিন থেকেই মশাল মিছিল, সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে ইসির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান তারা। তাছাড়া ইসির এই সিদ্ধান্ত বাতিল এবং বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশন বরাবর কমপক্ষে ৭১টি আবেদন করা হয়েছে।