চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বাবুল দাশ তদন্ত চলমান থাকা সত্ত্বেও বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগকারীদের দাবি, তিনি অভিযোগকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে অধস্তন কর্মচারীদের ওপর দোষ চাপিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন।
৪৩ জন শিক্ষক ও দাপ্তরিক কর্মকর্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৭ আগস্ট বিভাগীয় তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগকারীরা জানান, বিল অনুমোদনের জন্য নিয়মিত ঘুষ দাবি করা হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৎস্য, সমাজসেবা, এলজিডি-সব দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচির বিল অনুমোদনে ১০–১৫ শতাংশ পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়েছে। এমনকি অবসর ভাতা ও পেনশন অনুমোদনের ক্ষেত্রেও জনপ্রতি ২০ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন।
শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, “ঘুষ না দিলে ফাইলে স্বাক্ষরে টালবাহানা করা হয়, নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়। সর্বশেষ পেনশন অনুমোদনের জন্যও জনপ্রতি ৩০–৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। একজন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, তাকে ১ লাখ টাকা না দিলে অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়।”
অভিযোগকারীরা আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, মূল অভিযুক্ত কর্মকর্তার দায়মুক্তি পেলে ভবিষ্যতে পেনশন অনুমোদন ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরও ভয়াবহভাবে ঘুষ আদায় করা হবে।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বিভাগীয় হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মঞ্জুর আলম বলেন, “তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগকারীদের মধ্যে কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তবে অধিকাংশ উপস্থিত না থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও চলমান।”