চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে শিল্প-কারখানার সামনে যত্রতত্র অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ে যানজটে জর্জরিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। শিল্প এলাকা ঘিরে গড়ে ওঠা প্রায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের পাশে পণ্যবাহী ট্রাক-লরি দাঁড়িয়ে থাকায় মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
সিটি-গেট থেকে দারগারহাট পর্যন্ত প্রায় ৩৭ কিলোমিটার সড়কজুড়ে প্রতিনিয়ত এ অবস্থা বিরাজ করছে। পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে গড়ে ওঠা এসব শিল্প-কারখানার মালিকরা নিজস্ব পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না রাখায় ট্রাক ও কনটেইনারবাহী গাড়িগুলো মহাসড়কেই দাঁড়িয়ে থাকে। এর ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পড়ে সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকার কারণে মূল্যবান আমদানি-রপ্তানির পণ্য যথাসময়ে পৌঁছাতে না পেরে পথে নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রতিবছর কয়েক’শ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, “সিটি গেইট থেকে শুরু করে গোল্ডেন কন্টেনার ডিপো, বিএসআরএম, কেডিএস, আবুল খায়ের স্টিল মিল, শীতলপুর স্টিল মিল পর্যন্ত মহাসড়ক জুড়ে একই চিত্র। পণ্যবাহী গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে কাটাতে হচ্ছে।”
এদিকে অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে দুর্ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহে ১০টি দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। নিয়মিত দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষতি হলেও হাইওয়ে পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবের অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানা ইনচার্জ আব্দুল মোমিন বলেন, “শিল্প এলাকা হওয়ায় গাড়ির চাপ বেশি। মামলা দিয়েও সমাধান হচ্ছে না। শিল্পমালিকরা নিজস্ব পার্কিং না করায় এ সমস্যা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে।”