চুয়াডাঙ্গা শহরে মোবাইল নিয়ে বিরোধের জেরে দুই যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শেখপাড়ার গেন্দু মিয়ার গোডাউনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুজনের হলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার এলাকার বদিউর রহমানের ছেলে রাজু আহমেদ (৩৫) ও দৌলতদিয়াড় গ্রামের দক্ষিনপাড়ার জয় সরকারের ছেলে সুবল সরকার (২৫) এরমধ্যে সুবল সরকারের অবস্থা অশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।
এদিকে, দুই যুবকের কোপানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নৃশংস এই কোপানোর ভিডিও নিয়ে জেলাজুড়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আহত সুবল সরকার বলেন, রাতে আমিও রাজু শেখপাড়ায় অবস্থায় করছিলাম। এসময় সজিব রবিন, রুবেল, কামু সহ কয়েকজন আমাদের উপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
কি কারণে এ হামলা করেছে জানতে চাইলে সুবল সরকার বলেন, কয়েকদিন আগে সজিবের নিকট থেকে একটি পুরনো মোবাইলফোন নগদ টাকা দিয়ে ক্রয় করে রাজু। গত তিনদিন আগে এই মোবাইলটা লক হয়ে যায়। পরে জানতে পারি সজিব এই মোবাইলটা কিস্তিতে কিনেছিল, আর সেই কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় কোম্পানির পক্ষ থেকে মোবাইলটি লক করে দেয়া হয়। এ নিয়ে রাজু ও সজিবের কথাকাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে সজিবসহ কয়েকজন রাজুকে কোপাতে থাকে। আমি তার সঙ্গে ছিলাম এই জন্য আমাকেও তারা কোপায়।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুল সাকিব বলেন, দুজনের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। রাজুকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুবল সরকারকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, শুনেছি বড়বাজার এলাকায় দুজনকে কুপিয়েছে। বিস্তারিত জানতে পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গেছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।