চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন পরিবহন মালিক ও চালকরা। তাদের দাবি, মাসিক মাসোয়ারার নামে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে পুলিশ।
চালকদের অভিযোগ, সকাল, দুপুর, বিকেল ও রাতে মহাসড়কে রুটিনমাফিক চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখা হয়। কাগজপত্র ঠিক থাকলেও চাঁদা দিতে হয়, আর কাগজপত্রে সমস্যা থাকলে চাঁদার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে ত্রিচক্রযান চালাতে হলে আগে থেকেই চুক্তির আওতায় আসতে হয়, না হলে গাড়ি আটক করে মামলা দেওয়া হয়।
প্রতিদিন পালাক্রমে বাঁশবাড়ীয়া, মগপুকুর, কদমরসুল, ভাটিয়ারীসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসায় হাইওয়ে পুলিশ। সেখানে ২–৩টি গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হলেও মামলা হয় ১০–১৫টি। আর মামলা এড়াতে পরিবহন চালকরা ঘুষ দিয়ে ছাড়া পেয়ে যান। এতে প্রতিদিন প্রায় ১৫–২০ হাজার টাকা অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রবিবার সকালে সীতাকুণ্ড মগপুকুর এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, হাইওয়ে পুলিশের একটি দল সড়কের ওপর অবস্থান করছে। এ সময় এক ট্রাক চালকের কাছ থেকে এক কনস্টেবলকে টাকা নিতে দেখা যায়।
ট্রাকচালক হামিদ ইসলাম বলেন, “গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও চা-নাস্তার কথা বলে টাকা দাবি করে পুলিশ। না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। মামলার ভয়ে বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয়।”
এ বিষয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. আব্দুল মুমিন বলেন, “হাইওয়ে পুলিশের কারও বিরুদ্ধে যদি চাঁদাবাজির প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”