পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া মানসিক ভারসাম্য নারীকে ধর্ষণ এবং ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের।
গ্রেপ্তার হওয়া মো. জাহিদ (৪০) ভান্ডারিয়া উপজেল দক্ষিণ শিয়ালকাঠি এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের মোজাহার হাওলাদারের পুত্র। মো. জিয়াউল ইসলাম জিহাদ (৩২) দক্ষিণ শিয়ালকাঠী এলাকার মৃত আশরাফ আলী পুত্র। জিহাদ দৈনিক কীর্তনখোলা পত্রিকার ভান্ডারিয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত সোমবার গভীর রাতে ভান্ডারিয়া থানার হাসপাতাল মোড়ে ফারুকের দোকানের সামনে রাত ৩ টার দিকে একটি বেঞ্চের উপরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে রিকশাচালক মো: জাহিদ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ভিডিও একজন সাংবাদিক মো: জিয়াউল ইসলাম জিহাদ ধারণ করে।
পরবর্তীতে জিয়াউল ইসলাম জিহাদ ধর্ষক মো. জাহিদকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ দাবি করে। পরবর্তীতে জেহাদ নিজ ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করলে পুলিশের নজরে আসলে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। সাংবাদিক জিহাদ ধর্ষণ এর সময় কোনরকম বাধা প্রদান না দিয়ে একটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর কারণে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা এ বিষয় পুলিশ হেডকোয়ার্টার ও বিটিআরসি এর সাথে কথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ডাউন করা হয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের জানান এ বিষয়ে দুইজনকে আসামী করে নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের অতি দ্রুত আদালতে পাঠানো হবে।