সিলেটের গোয়াইনঘাটের দামারী মান উল্লাহ শাহ মাজার থেকে এক নারী ভক্তের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে এখনো তা জানা যায়নি। বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের দামারী মান উল্লাহ মাজারের নামাজ ঘরের পিছন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই নারীর নাম সিরাজুন বেগম( ৪০)।তিনি উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের ওমান প্রবাসী আসাব আলীর স্ত্রী।
গোয়াইনঘাট থানাধীন সালুটিকর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় জানান,বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মান উল্লাহ শাহ মাজারের নামাজ ঘরের পিছনে খালের পারে সিরাজুন বেগমের লাশ দেখতে স্থানীয় গরু রাখালেরা।পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।তার সাথে সিরাজুন বেগম মাজার ভক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে মানসিক রোগী ছিল বলেও জানা গেছে।
নিহতের ছোট ভাই আমির উদ্দিন বলেন,মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসার কথা বলে আমার বড় বোন ৪ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছে।প্রায় সময় আমার বড় বোন বিভিন্ন মাজারে যেত কিছুটা মানসিক সমস্যা থাকলেও আবার বিকেলে বাড়ি ফিরে আসত।কালকে আর বাড়ি ফিরে আসেনি আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে খবর পেলাম মান উল্লাহ শাহর মাজারে আমার বোনের লাশ পরে আছে। গিয়ে দেখতে পাই আমার বোনের গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। আমার সন্দেহ হচ্ছে কে বা কারা আমার বোনকে হত্যা করেছে।
সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও মরদেহ উদ্ধারের দায়িত্বরত এস আই সাহাব উদ্দিন বলেন,মান উল্লাহ শাহ মাজারের নামাজ ঘরের পিছনে খালের পার থেকে সিরাজুন বেগম নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। ঘলায় উরনা পেচানো ছিল তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাইনি।লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সালুটিকর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দামারীর মান উল্লাহ শাহ মাজারের পাশ থেকে সিরাজুন বেগম নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।