চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কোনরূপ তদন্ত ছাড়াই রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে একটি পরকিয়ার ঘটনাকে আড়াল করতে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক নারী। বর্তমানে সেই মিথ্যা মামলায় ঐ নারীর স্বামীসহ দুইজন কারাভোগ করছে। এই ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সেলিনা বেগম নামে নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ ও দায়ীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সেলিনা বেগম বলেন, তার স্বামী মো. মানিক একজন সাধারণ কাঠমিস্ত্রি। পুর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে (২১ আগস্ট) বৃহষ্পতিবার সুমি আক্তার নামের এক নারী তার পরকিয়া প্রেমিক বেলায়েত হোসেনকে নিয়ে তার বাসায় আসে। বেলায়েত হোসেন অপরিচিত হওয়ায় তার সন্দেহ হয়। এসময় ¯’ানীয় লোকজন জড়ো হলে সুমি ও তার সঙ্গী বাসা থেকে চলে যায়।
পরদিন শুক্রবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় রাজনীতিবিদ আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে আল মদিনা হাসপাতালের সামনে মানিক ও রিয়াদকে ডেকে নিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ করে প্রকাশ্যে মারধর করে। পরে আবাদুল মতিনের ফোন পেয়ে পুলিশ এসে মানিক ও রিয়াদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপরে সুমি আক্তারের পরকিয়া প্রেমিক বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে মানিক ও রিয়াদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ তাদেরকে চিহ্নিত চাঁদাবাজ দেখিয়ে মামলা দায়ের পূর্বক চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও দাবি করেন, ‘কোনো তদন্ত ছাড়াই পুলিশ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার স্বামী ও তার বন্ধু নির্দোষ হয়েও কারাগারে দিন কাটা”েছন। আমি ছোট ছোট সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
এঘটনায় তিনি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার, স্বামী ও তার বন্ধুর নিঃশর্ত মুক্তি এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।