মনপুরার ফকিরহাট বাজারের ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট পরিচালক এবং সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন হত্যাকান্ডে জড়িত মো: আবু কালাম(৩৯) নামের এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন চরফ্যাসন ( চৌকি) অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় অতিরিক্ত দায়রা জজ মো: শওকত হোসাইনের আদালত এই রায় দেন।
আদালতের রায়ে একই সাথে বলা হয় আসামীকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হলো, অর্থদন্ড প্রদানে ব্যর্থ হলে জরিমানা অনাদায়ে আসামীকে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হলো। রায়ে এই মামলায় অপর ৩ আসামী মো: জয়নাল,এস ও কালাম ও মো: রনির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাস্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় তাদেরকে এই মামলার দায় থেকে খালাস প্রদান করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক শত্রুতাকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাত অনুমান ১০ টার দিকে আসামী আবুল কালাম, মাকসুদ, জয়নাল, এস ও কালাম, শাহীন ও শামীম চর ফৈজউদ্দিনে ভিকটিমের ঘরের চারপাশে অন্ধকারে উৎ পেতে থাকে।
আসামীদের মধ্যে রনি (২০) ফকিরহাট বাজারে ভিকটিম আলাউদ্দীনের কার্যক্রম লক্ষ করছিলো এবং সে কখন বাড়ীর দিকে রওনা দেয় সেই সংবাদ সবাইকে অবগত করেছিলো। ব্যবসায়ের কাজ শেষ করে রাত অনুমান ১১ টা ৪০ এর সময় ভিকটিম আলাউদ্দীন তার নিজ বাড়ীর সামনে এসে পৌছালে আসামী আবু কালাম ভিকটিম আলাউদ্দীনের গলায় এবং আসামী মাকসুদ ভিকটিম আলাউদ্দীনের বুকে ছুরি দিয়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক আলাউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরের দিন ভিকটিম আলাউদ্দীনের ভাই জাফর বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে মনপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত কর্মকর্তা মোট ৭ জন আসামীর বিরুদ্ধে ২ টি চার্জশীট দাখিল করেন, আজ এই মামলায় রায় হয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক ৪ জনের বিরুদ্ধে। আসামীদের মধ্যে মাকসুদের বয়স ১৭ বছর, শাহীনের বয়স ১৬ বছর এবং শামীমের বয়েস ১৬ বছর হওয়াতে তাদের জন্য পৃথক চার্জশীট দেয়া হয়। তাদের বিচার বর্তমানে ভোলার শিশু আদালতে চলমান।