× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পলাশে বিধবা নারীর বাড়ি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

 জাহিদ সরকার মনির, পলাশ (নরসিংদী)

২৭ আগস্ট ২০২৫, ২০:৫৩ পিএম । আপডেটঃ ২৭ আগস্ট ২০২৫, ২০:৫৪ পিএম

নরসিংদীর পলাশে এক বিধবা নারীর বাড়ি জোরপূর্বক জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে ওই বিধবা নারীকে মারধর করে তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বালুচর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে ভুক্তভোগী বিধাবা নারী বাদী হয়ে নরসিংদী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যা পলাশ থানা পুলিশেকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করেও ভুক্তভোগী বিধবা নারী রাবেয়া বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার স্বামী সিরাজ হাজী জীবিত থাকা অবস্থায় তাসলিমা বেগম নামের এক মহিলাকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই ওই মহিলার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাসলিমা বেগমকে তালাক দিয়ে দেয়। এরপর কয়েক বছর পর স্বামী সিরাজ হাজী মারা গেলে তালাকপ্রাপ্ত ওই তাসলিমা বেগম সম্পত্তির লোভে পড়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী  রাবেয়া বেগমের বসবাসরত একটি তিনতলা ভবনের নিচতলা ইউনিটটি জোরপূর্বক জবরদখল করে। এরপর থেকে শুরু হয়ে গভীর ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত। 

তালাক প্রাপ্ত তাসলিমা বেগমের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন ও স্থানীয় এক দালাল চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য ভূমিদস্যু কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে  ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগমের ওপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন।

আরও জানা যায়, ঘোড়াশাল  পৌরসভার পলাশ গড়পাড়া   এলাকায় মৃত সিরাজ হাজীর মৃত্যুর পর তার  স্ত্রী  বিধবা গৃহবধূ স্বামীর রেখে যাওয়া তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বসবাস করছিলেন রাবেয়া বেগম। সন্তান না থাকায় জীবদ্দশায় সিরাজ হাজী ভবনের দ্বিতীয় তলায় রাবেয়া ও তৃতীয় তলায় দুই সৎ ভাই নূর মোহাম্মদ (৪৭) ও নুরুজ্জামানকে থাকার অনুমতি দেন। বিধবা গৃহবধূ নিচতলা ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

প্রায় তিন  বছর আগে মারা যান সিরাজ হাজী। এর আগে তাছলিমা বেগমকে বিয়ের সময় নগদ কাবিন বাবদ জমি রেজিস্ট্রি করা হলেও দাম্পত্য কলহের জেরে সামাজিকভাবে কোনো সম্পত্তি দাবি না করে ৮ লাখ টাকা গ্রহণের শর্তে তিনি তালাক নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান।

কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর তাসলিমা বেগম বেগম, তার ভাই বিল্লাল হোসেন ও সহযোগী ভূমিদস্যু কামরুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে ভবনের নিচতলা দখলে নিতে ভাড়াটিয়াদের দা-চুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদ করেন।এবং রাতের অন্ধকারে রোম দখল করেন পরে তারা নিচতলায় প্রবেশ করে আলমারির তালা ভেঙে ১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার (মূল্য প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা) ও নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ভুক্তভোগী জানান, বাধা দিলে তাকে শ্লীলতাহানি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামিরা। টাকা না দিলে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে কুখ্যাত দালাল কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি দখল, নামজারি-রেকর্ডে দালালি, ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে হয়রানি,উর্ধতন পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায় ও প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, প্রভাব খাটিয়ে তিনি বার বার আইনের হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে, স্থানীয়দের অনেকে জানান, কামরুল জমির দালালী করে ভূমি অফিস থেকে শুরু করে থানায় দালালি করে থাকে। কারও জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে তিনি একটি পক্ষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে অন্য পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। কিছুদিন আগেও একটি জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই নারী ও দুই পুরুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন তিনি।সিরাজ হাজী বেঁচে থাকতে বিগত আওয়ামীলীগের সময় তার নগদ কাবিন এর  তালাক প্রাপ্তা স্রী মরিয়ম কে দিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সিরাজ হাজীর নিকট থেকে ৬ লক্ষ টাকা আাদায় করে ভূমি দস্যু। 

বিধবা গৃহবধু  এ প্রতিবেদককে জানান, `আমার স্বামী জীবিত থাকাকালীন সম্পত্তি নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। মৃত্যুর পর তাছলিমা পরিকল্পিতভাবে আমাকে হয়রানি করছে। আমি এখন জীবননাশের ভয়ে আছি।'

মৃত সিরাজ হাজীর স্রী রাবেয়া জানায় ভূমি দস্যু দালাল  তাছিলিমাকে বাদী করে কামরুল রাবেয়া এবং তার সতিন মৃত হাজী সিরাজ   বড় স্রী সাবেরা সুলতানা, ভাই নুর মোহাম্মদ, নুরুজ্জামান সহ অনেক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা বাজী মামলা দিয়ে দীর্ঘ দিন হয়রানি করে। এবং কদিন আগে ওয়াপদা গেইট এলাকায় তার গ্লাস দোকানে আমাদেরকে খবর দিয়ে নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দাম কি দেয় বলে সে আমাদের বিরুদ্ধে লেগেছে যদি তার আপোষ  মিমাংসা  না হই সে আরো ক্ষতি করবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে।সে আমার নিকট চাঁদ দাবি করে।তাই আমি বাদ্য হয়ে কোর্টে মামলা করি মামলাটি এখন পলাশ থানায় তদান্তধীন আছে। 

এ বিষয়ে পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন  জানান,  মামলার সঠিক তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।


Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.