ছবি: সংবাদ সারাবেলা।
খানাখন্দে ভরা সড়ক। এতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রহনপুর সড়ক। প্রতিদিন বাড়ছে দূর্ঘটনা। বৃষ্টি হলেই বেড়ে যাচ্ছে ভোগান্তির দ্বিগুন মাত্রা। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না থাকায় সড়কের এমন বেহাল অবস্থা। সড়কটি এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। ৩৩ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও গর্তে ভরে উঠেছে। বরাবরের মতোই সড়ক বিভাগের আশ্বাস দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গত রবিবার দুপুরে সরেজমিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশ্ব রোড মোড় থেকে রহনপুর কলেজ মোড় পর্যন্ত গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার বালুগ্রাম মোড়, চাঁপাইপলশা, চকপুস্তুম মোড়, মরিচাডাঙ্গা থেকে কলেজ মোড়ের বিভিন্ন স্থানে শত শত গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় যানবাহন চলাচল এখন দায় হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন বহু দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেক স্থানে গর্ত, পিচ ঢালাই ও খোয়া উঠে গেছে। এটা যে পাকা সড়ক তা বোঝার কোনো উপায় নেই। বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে কাদায় ভরে যাচ্ছে। যানবাহনে যাতায়াত ছাড়াও পায়ে হাঁটা মানুষেরা সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, অতিবৃষ্টির কারণে এবার সড়কের এমন বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর মরিচাডাঙ্গা থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের সড়কটি এখন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গোমস্তাপুর উপজেলার জাহিদনগর গ্রামের বাসিন্দা শাহিন আলম বলেন, ‘প্রতিদিন আমাকে রহনপুর মটরসাইকেল চালিয়ে যেতে হয়। মরিচাডাঙ্গা থেকে কলেজমোড় পর্যন্ত রাস্তার যে অবস্থা ভয়ে ভয়ে গাড়ী চালাতে হয়। কারণ প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে শত শত গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব গর্ত ছোটও নয়। এটা হওয়ার কারণ হচ্ছে সড়ক বিভাগের দূনীর্তি ও তদারকির অভাবে।
একই এলাকার বাসিন্দা আফাজুর রহমান বলেন, ‘টানা তিন থেকে চার মাসের বৃষ্টিতে মরিচাডাঙ্গা সেতু থেকে লতিফুর রহমানের ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত ছোট বড় মিলিয়ে হাজার খানিক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।’
আজিজা খাতুন নামের এক পথচারী বলেন, ‘গত শনিবার এ সড়ক দিয়ে মটরসাইকেল নিয়ে আমার বাসা থেকে আসার সময় সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি।
রহনপুর কলেজ মোড় থেকে চাঁপাই মহানন্দা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আসতে লেগে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকার কারণে পোশাক কাঁদা পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। বাসায় এসে কাপড় চেঞ্জ করা লেগেছে।’ খয়রাবাদ এলাকার সিএনজি চালক মো. ফারুক বলেন, ‘চাঁপাই থেকে রহনপুর কলেজ মোড় পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার সড়কে তিনচার মাস আগে আসতে সময় লাগতো চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ মিনিট।
আর এখন আসতে সময় লাগে এক ঘন্টার বেশী। বিশেষ করে ছোট গাড়িগুলো এ সড়ক দিয়ে চলাচল অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তার দেখা মতে— বৃষ্টির মধ্যে সড়ক বিভাগ এ সড়কটির মেরামতের কাজ করেনি। এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ছোটখাট দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। শুধুমাত্র সড়কের খারাপ অবস্থার করনে প্রতিমাসে আমাদেরকে গাড়ি মেরামতের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়। ’
সড়ক ও জনপথ বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিবার্হী প্রকৌশলী মোহা. নাহিনুর রহমান জানান,‘বৃষ্টিকালীন সময়ে মোবাইল মেইনটেনেন্সের মাধ্যমে জেলা সড়কগুলো মেরামত করা হচ্ছে। বৃষ্টি পরবতীর্ সময়ে বিটুমনি দিয়ে সড়কগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে বালুগ্রাম মোড় এলাকায় ড্রেনের কাজ চলমান থাকায় সেখানে বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে বিশাল আকারের গর্ত তৈরি হয়েছে। এ সড়কটি কবে নাগাদ বিটুমিন দিয়ে সংস্কার হয়েছে। তার কোন তথ্য দিতে পারেনি সওজ কর্মকার্তা।
সড়ক বিভাগের সড়ক সংস্কারের অনিয়ম দূনীর্তিকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh