দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথরখনিতে বিষ্ফোরক দ্রব্য (অ্যামালসন এক্সপ্লোসিভ) এর অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে খনির ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে খনির ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন কার্যক্রম।
খনির উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া স্টেট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) বিষ্ফোরক দ্রব্য (অ্যামালসন এক্সপ্লোসিভ) এর অভাবের কারণে ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধকরে দিয়েছে। এতে খনির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চালু থাকলেও বন্ধ হয়ে গেছে খনির উন্নয়ন কার্যক্রম।
ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন কাজের জন্য অতি প্রয়োজনীয় বিষ্ফোরক দ্রব্য (অ্যামালসন এক্সপ্লোসিভ) মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড (এমজিএমসিএল) কর্তৃপক্ষ সময় মতো চাহিদানুযায়ী সরবরাহ না করায় খনির ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন ও উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি।
এদিকে খনির ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন গড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রতিদিন সরকারের লোকসান গুণতে হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। বর্তমানে পাথরখনির অভ্যন্তরে পাথর ইয়ার্ডে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন পাথর বিক্রির অপেক্ষায় মজুদ রয়েছে।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী ডি.এম জোবাইয়ের হোসেন বিষ্ফোরক দ্রব্য (অ্যামালসন এক্সপ্লোসিভ) এর অভাবে ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
বর্তমানে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় বিষ্ফোরক দ্রব্য (অ্যামালসন এক্সপ্লোসিভ) ভারত থেকে বাংলাদেশের প্রবেশ এবং কাস্টমস ক্লিয়ারিং এর অপেক্ষায় রয়েছে। যা দু-তিনদিনের মধ্যেই খনি এলাকায় চলে আসবে। এরপর পাথর উত্তোলন কার্যক্রম পূর্বের মতোই স্বাভাবিকভাবে হবে।