রাজশাহীর তানোর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল সোনারের বিরুদ্ধে জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গোল্লাপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুস সামাদ মন্ডলের পুত্র আব্দুর রহিম মন্ডল বাদি হয়ে শামসুল সোনারসহ তিনজনকে বিবাদী করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।এঘটনায় বিবাদমান দুপক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার জেল নম্বর ১৫৬, মৌজা তালন্দ, খতিয়ান নম্বর আরএস-৩৯ দাগ নম্বর ৪৭৪, ৪৭৫, ৪৭৬, ৪৭৭, ৪৭৮, ৪৭৯, ২৫৩৭ ও ২৫৫৫ দাগে শ্রেনি ধানী ও পুকুরপাড়, পরিমান ২ একর ৭৯ শতাংশ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে, উক্ত সম্পত্তির কোনো হিস্যা ওয়ারিশদের না দিয়ে, দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর যাবত,শামসুল সোনার,আনারুল সোনার ও রবিউল সোনার জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে।
এদিকে, লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, নিম্ন তফসীল বর্ণিত সম্পত্তি আমাদের পিতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি। যাহা বিবাদীগণ জোরপূর্বকভাবে ১৮ বছর যাবৎ ভোগদখল করে আসছে। বিবাদীগণকে আমাদের অংশের সম্পত্তি বের করে দিতে বললে সে বিভিন্ন রকমের তাল বাহানা করে এবং বলে যে, আমি সব জমি কিনে নিয়েছি তোমরা আর কোনো জমি পাবে না। বিবাদীগণের কাছে জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে নানা রকম তালবাহানা করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে।
অন্যদিকে, কিছু দিন পূর্বে বিবাদীগণ স্বেচ্ছায় আমাদের তিন শতক জমি বের করে দেন। কিন্তু আমরা প্রায় ৪২ শতাংশের জমির মালিক। এমতাবস্থায় গত ১৩ আগস্ট আমরা তিন শতক জমিতে ১২টি ইউক্যালেক্টরের গাছ রোপণ করি।কিন্ত্ত গত ১৫ আগস্ট সকালে বিবাদীগণ ১২টি ইউক্যালেক্টরের গাছ তুলে ফেলে। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে বিবাদীগণ অনেক খারাপ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।
বিবাদীগণের সহিত দ্বন্দে লিপ্ত হইলে আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে।যেকারনে বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।এবিষয়ে জানতে চাইলে শামসুল সোনার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।