রামপালের ফয়লাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহশিক্ষক অলিউর রহমানের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী (১০) কে হেনস্তা, ভয়ভীতি ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর অভিভাবক মল্লিক মাহফুজুর রহমান প্রতিকার চেয়ে বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তদন্ত ভিন্নখাতে নিতে ওই শিক্ষক দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ফয়লাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়ে মল্লিক মাহফুজুর রহমানের মেয়ে। ওই বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ান ওই শিক্ষক অলিয়ার রহমান। সেখানে তার কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য ওই ছাত্রীকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এ পর্যায়ে দীর্ঘ দিন ধরে ওই ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। মাঝে মাঝে আক্রোশমুলকভাবে ওই ছাত্রীকে স্কেল দিয়ে প্রহর করে আহত করে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রাথমিকভাবে প্রধান শিক্ষক শরীফুল ইসলামকে জানান।
প্রধান শিক্ষক কোন প্রতিকার না করায় সহ শিক্ষক অলিয়ার আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি ওই ছাত্রীকে আবারো মারপিটসহ অপমান করেন। এতে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এখন শিক্ষককে দেখলে ভয়ে ছাত্রী স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। এমন অবস্থায় মানসিক বিপর্যয়ে পড়েছে ওই পরিবারটি। তারা প্রতিকারের আশায় অপেক্ষা করছেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধ ইতিপূর্বে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। এসব নিয়ে যতবার অভিযোগ হয়েছে, ততবারই তিনি ম্যানেজ করে পার পেয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে ছাত্রীর পিতা মাহফুজুর রহমানের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষক অলিউর মাফ চেয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক অলিউর সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিবেদকসহ অন্য সাংবাদিকদের ম্যানেজের চেষ্টা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফরহাদ আলী বলেন, বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন। তার নির্দেশনায় অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিছু অসংগতি পাওয়া গেছে। প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত চলমান আছে। ইতিমধ্যে ওই শিক্ষক বিভিন্ন ব্যাক্তিদের দিয়ে তদন্তে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে স্বীকার করেন এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।