গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের বালাডাঙ্গা এলাকার চলাচলের একটি মাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কের বেহাল অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। প্রায় ১০০ মিটারজুড়ে রাস্তাটি ভাঙাচোরা হয়ে খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ ২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
সরেজমিন, রাস্তার দুই পাশে রয়েছে বালাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এসএম মুসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ছাড়াও কৃষক, ব্যবসায়ীসহ এলাকার মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এ সড়কটি। টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, ডুমুরিয়া ও আশপাশের এলাকায় যাতায়াত করেন এসব এলাকর লোকজনরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ষা শুরুর আগেই সড়কটি ভাঙতে শুরু করে। নিয়মিত যানবাহন চলাচল ও ভারি বৃষ্টির কারণে পুরো রাস্তার বেশিরভাগ অংশে পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ে গিয়ে আহত হওয়া এসব ঘটনা ঘটছে।
শিক্ষার্থী ঝুমুর ইসলাম ও রিয়াদ বলেন, “স্কুলে আসার একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। বৃষ্টি হলে বেশী কষ্ট হয়। অনেক সহপাঠী পড়েও আহত হয়েছে। আমরা চাই এই রাস্তা দ্রুত সংস্কার করা হোক।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রকৃতি জয়ধর, রিয়া ও আবদুল্লাহ জানান, বৃষ্টির দিনে পানি জমে যায়। তখন বই-খাতা নষ্ট হয়।
অনেকে স্কুলেই আসতে পারে না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক গৌরী মজুমদার বলেন, প্রতিদিন প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী এ রাস্তায় যাতায়াত করে। চিঠি দিয়েও কোন কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাফেরা করতে হচ্ছে সবার।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, মাছ বিক্রি করতে কোটালীপাড়ার বাজারে যেতে হয় প্রতিদিন। মাঝে মধ্যে রাস্তায় গাড়ি উল্টে যায়। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। সরকারের কাছে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, চিঠি পাওয়ার পর রাস্তাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে এখন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টি কমলেই দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।