চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক স্বল্পতা দীর্ঘদিনের। বছরের পর বছর সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদগুলো পূরণ হচ্ছে না। ফলে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা।
৩৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬৪১ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছে মাত্র ৪৪৭ জন । উপজেলা শিক্ষা অফিসে ধরনা দিলেও এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তাই ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলায় ৩৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায়২৯ হাজার জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন প্রধান শিক্ষক, ১২ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ১৭৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শুন্যসহ মোট ১৯৪ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
লুধুয়া হাই স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন, ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রজ্জব আলী, চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দলিল উদ্দিন, হাজী মাঈনুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন, গাজীপুর কাদির আজিজ লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেন, নূরুলহুদা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান হোসেন, নন্দলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারওয়ার হোসেন, ধনগোদা তালতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফারুকুল ইসলাম, বাগানবাড়ী আইডিয়েল একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল আজিজ, নীলনগর উচ্চ বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মিয়া, দশানী মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান।
নাওভাঙ্গা জয়পুর উচ্চ বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক খান মোহাম্মদ শাহআলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক শৃঙ্খলাও ভেঙে পড়েছে। শিক্ষক স্বল্পতায় মানসম্মত ফলাফলের দিক দিয়েও পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রজ্জব আলী বলেছেন, গত বছরের এসএসসি পরীক্ষা যেভাবে নেওয়া হয়েছে আগামী বছরেও এভাবে পরীক্ষা নিলে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখায় মনোযোগী হবে শিক্ষার মান ও মেদাবী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধিপাবে এবং শিক্ষার পরিবেশ আগের মতো ফিরে আসবে ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশ্রাফুল হক বলেছেন, শিক্ষক সংকটে পড়া লেখা ব্যহত হচ্ছে কথাটি সত্য। তবে ইতিমধ্যই সরকার শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে ।