কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়ার সুন্দরবন রেঞ্জের উজানটিয়া বিটের স্টাফ মোহাম্মদ রিয়াজুল আলম জনি বদরখালী বাজারে ফরেস্ট অফিসের চেকপোস্টের নাম ভাঙিয়ে মালবাহী গাড়ী থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, তিনি অঘোষিতভাবে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রতিদিন কাঠ, বাঁশ ও ফার্ণিচার পরিবহনের গাড়ি হতে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, বদরখালী ফেরিঘাট সিএনজি স্টেশনে সুন্দরবন রেঞ্জের অধিনে থাকা বন বিভাগের লোকজন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছেন। তবে বদরখালী পাশের সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশখালী গিয়ে সুন্দরবন রেঞ্জের স্টাফরা দায়িত্ব পালন বা প্রকাশ্য চাঁদাবাজি রীতিমত সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের ভাবিয়ে তুলেছে। মূলত তাদের দায়িত্ব বদরখালী কেন্দ্রীক তার পরেও তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে সরকারি বিধি-নিষেধ না মেনে অন্য উপজেলা হানা দিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি যেন তাদের নেশাতে পরিণত হয়েছে ।
জানা যায়, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাঠ বহনকারী লরি ও ট্রাকগুলোকে টোলপ্লাজার একটু সামনে দাঁড় করিয়ে বন বিভাগকে চাঁদা আদায় করতে দেখা গেছে। এতে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কাঠ ব্যবসায়িরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, বদরখালী-মহেশখালী সেতুর পশ্চিশ পাশে টোল প্লাজা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন কাঠ বহনকারী ৩০ থেকে ৪০ টির মতো গাড়ি মহেশখালী সেতুর ওপর দিয়ে আসা যাওয়া করে।
এ সময় সুন্দরবন রেঞ্জ বিভাগের বন কর্মকর্তারা কাগজপত্র পরীক্ষার নামে প্রতিটি গাড়িকে মহেশখালী টোলপ্লাজার সামনে পাশ কাগজের মাঝখানে প্রতি গাড়ি থেকে ১ হাজার, ৫শ টাকা ও কখনো কখনো মিনি ট্রাক থেকে ৮শত হাজার টাকা নিতে দেখা যায়। বনবিভাগের এই চাঁদাবাজিতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর নামেও টাকা রাখা হয় বলে জানা গেছে। এতে অনেক গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও চাঁদা দিতে হয় পরিবহন শ্রমিকদের।
বদরখালী এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাঠ ব্যবসায়ী বলেন, ‘কাঠ পরিবহনে ট্রানজিট পারমিশন থাকার পরও বিটের স্টাফ মাখনকে টাকা দিয়ে আসতে হয়। না দিলে গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে।
মহেশখালী টোলপ্লাজায় কর্মরত এক কর্মচারী বলেন, ‘টোল প্লাজার সিসিটিভিগুলো পরীক্ষা করলে দেখা যাবে বনবিভাগের লোকজন প্রতিদিন এসে কিভাবে চাঁদাবাজি করে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বদরখালী ফেরীঘাটে সিএনজি স্টেশনে দাঁড়িয়ে চাঁদা আদায় করেন।’
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মারুফ হোসেন বলেন, ‘বদরখালী ফেরিঘাটে গাড়ি দাঁড় করিয়ে চেকপোস্টের নামে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান তিনি।’