ছবি: সংগৃহীত।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামে পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মারধরের ঘটনা ঘটে । ভুক্তভোগীরা সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের নাম মো. সাব্বির হোসেন (১৫), মো. রিপন ইসলাম (১৫), মো. রিয়াদ আফরোজ রানা (১৫), মো. রিয়াদুল ইসলাম (১৬), সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এবং মো. রাকিব হোসেন (১৫) অত্র বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
জানা গেছে, সিংনগর বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. জিহাদ হোসেন এর সাথে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ক্লাসরুমের সামনে চলাচল নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয় এবং উল্লিখিত দিনেই শিক্ষার্থীরা নিজেইরা বিষয়টি সমাধান করেন।
ভুক্তভোগীরা হলেন, জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মো. শরিফুল ইসলামের ছেলে মো. রিপন হোসেন , মো. ইস্তাজুল ইসলামের ছেলে মো. রাকিব হোসেন, মো. শামীম হোসেনের ছেলে মো. সাব্বির হোসেন ও সিংনগর গ্রামের মো. তোতা মিয়ার ছেলে রিয়াদ আফরোজ রানা এবং রতিরামপুর গ্রামের মো. আলম হোসেনের ছেলে রিয়াদুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. সাব্বির হোসেন বলেন বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্কুল ছুটি শেষে আমি বাড়ি ফেরার সময় মো. জিহাদ হোসেন রাস্তা আটকিয়ে হাসুয়া দিয়ে আমাকে মারতে আসে এই ঘটনা দেখে সিংনগর গ্রামের আমিনুর নামের একজন আমাকে প্রাণে বাঁচায় এবং আমাকে বাড়ি চলে যেতে বলে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শামীম হোসেনের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলাম প্রাইভেট পড়া শেষ করে বড়ি ফেরার সময় জিহাদের বাবা মো. শহিদুল ইসলাম, জিহাদের বড় ভাই মো. খাজু হোসেন আমাদের-কে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাদের ঘরে অনুমান ২ ঘন্টা আটকিয়ে রাখে। মো. শহিদুল ইসলাম, মো. জিহাদ ,মো. খাজু হোসেন , তিনজন মিলে বড় হাসুয়, রড, বালধারা দিয়ে মারধর করে আর আমাদের হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন , সিংনগর গ্রামের শামীম মাস্টার শহিদুল ইসলাম বাড়িতে গিয়ে আমাদেরকে বেড় করে নিয়ে আসে। আমাদের আটকিয়ে রেখেছে একথা আমাদের পরিবার জানতে পারলে ৯৯৯ ফোন দিলে জীবননগর থানা পুলিশ আসে আর আমাদেরকে নিয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করে আমাদের অভিবাবকের হাতে তুলে দেয়।
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ওই পাঁচজন শিক্ষার্থী আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল তখন ও শিক্ষার্থীদের-কে ধরে নিয়ে এসে আমার বাসায় রাখি ওদের মারধর করা হয়নি।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদ হোসেন বলেন রাত সাড়ে ১০টার সময় ৪ জন শিক্ষার্থী আসে ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারো মাথায়, ডান হাঁটুর নিচে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন ছিল । আমরা চিকিৎসা দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ৯৯৯ এর ফোনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এবং তক্ষনি আমাদের পুলিশ ফোর্স ঘটনা স্থলে পৌঁছায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের হাত তুলে দেওয়া হয় । এ ঘটনার আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনকানুন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh