নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাঁকে নীলফামারীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে বিকেলে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর নগরীর ধাপ লালকুঠি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে শাহিদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে দুটি হত্যাসহ মোট পাঁচটি মামলায় শাহিদ মাহমুদের নাম আসামির তালিকায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, “শাহিদ মাহমুদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর মামলা রয়েছে। সোমবার আদালতে হাজির করার পর বিচারক তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
উল্লেখ্য, স্থানীয় রাজনীতিতে শাহিদ মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিলেন। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।