ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় শ্যালোমেশিন চুরির অভিযোগ তুলে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে জানান রাণীশংকৈল থানার ওসি আরশেদুল হক।
সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের কুয়াভিটা গ্রামে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কপিল চন্দ্র বর্মন (২২) বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামী করে রাণীশংকৈল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত কার্তিক চন্দ্র বর্মন (৫০) উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের কুয়াভিটা গ্রামের প্রয়াত খনা রায়ের ছেলে। গ্রেপ্তাররা হলেন, ধর্মগড় ইউনিয়নের কুয়াভিটা গ্রামের প্রয়াত অনন্ত কুমার রায়ের দুই ছেলে তপন চন্দ্র (৪৩), ডালিম চন্দ্র (৩৫), একই গ্রামের নবদেব কুমার বর্মনের ছেলে রতন চন্দ্র বর্মন (২৩), প্রয়াত হেমন্তের ছেলে নবদেব কুমার বর্মন (৪৮) ও একই গ্রামের হিরা।
মামলার বরাতে ওসি আরশেদুল হক বলেন, শ্যালোমেশিন চুরির অভিযোগ তুলে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার পাঁচজন অন্য আসামীরা মিলে প্রতিবেশি কার্তিক চন্দ্র বর্মনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে।
এসময় কার্তিক চন্দ্র বর্মন গুরুত্বর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন মিলে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় কার্তিককে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পুলিশ প্রথমে ৩ জন ও পরে আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার বাদী কপিল চন্দ্র বর্মন বলেন, শ্যারোমেশিন চুরির অপবাদ দিয়ে একই গ্রামের হুদা ও তার সহযোগীরা মিলে আমার বাবাকে হয়রানি করেছিলেন। সোমবার রাতেও তারা শ্যালোমেশিন চুরির অপবাদ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আসামীরা আমার বাবাকে হত্যা করেছে।
আমি অপরাদীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। রাণীশংকৈল থানার ওসি আরশেদুল হক বলেন, হত্যাকান্ডের এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।