সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমা বেগম (৬৫) বৃদ্ধা মাকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ে, জামাতা ও নাতনিদের বিরুদ্ধে। রোববার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কাকশিয়ালী গ্রামে। নিহত ফাতেমা বেগম ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ফাতেমা বেগমের সঙ্গে তার কন্যা খালেদা বেগমের পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিলো। ঘটনার দিন বিকেলে খালেদা বেগম তার স্বামী আফজাল হোসেন, মেয়ে সাজেদা, সুমাইয়া ও ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে যান।
একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডার জেরে তারা সবাই মিলে ফাতেমা বেগমকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তপন কুমার হাসপাতালে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। নিহতের বোন সেলিনা বেগম বাদী হয়ে মেয়ে খালেদা বেগম, জামাতা আফজাল হোসেন, নাতনি সাজেদা ও সুমাইয়ার নামে থানায় হত্যা মামলা (নং-৪) দায়ের করেন। কালিগঞ্জ থানার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযানে র্যাব আশাশুনি এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে। পরদিন বুধবার দুপুরে আসামিদের কারাগাওে পাঠায় পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে মামলা তদন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”