কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল ধরায় ভয়ে পাসের একটি ভবনে ক্লাস নিচ্ছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই বছর যাবৎ এভাবেই চলছে তাদের পাঠদান। এতে ব্যহত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিতভাবে জানালে স্কুলটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায়, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। বরাদ্ধের অভাবে বেশিরভাগ স্কুলের অবস্থাই নাজেহাল। তার মধ্যে এই স্কুলটির অবস্থা একেবারেই নাজুক। এছাড়াও উপজেলার ইসলামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিয়ামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সুতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও আরো অনেক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে।
সরেজমিনে জানাযায়, এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সালে এবং ১৯৭৩ সালে এই স্কুলটি জাতীয় করণ করা হয়। বর্তমানে স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে ১৪০ জন এবং শিক্ষক রয়েছেন ৭জন। দুটি ভবনে শ্রেণি কক্ষের সংখ্যা ৫টি। পুরাতন ভবনটিতে ছাদ এবং কলামসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরায় তিনটি শ্রেণি কক্ষ বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে পাশের ভবনটির বারান্দায় ক্লাস নিচ্ছেন শিশুরা। বারান্দায় গাদা-গাদি করে বসতে হয় তাদের। নেই কোন ফ্যানের ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে স্কুলটির শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যহতের আশঙ্কা রয়েছে।
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া তাইবা ও তামিম নামের শিশু শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের পাশের বিল্ডিংটি ফাটল ধরেছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমরা ভয়ে বারান্দায় পড়াশুনা করি। বারান্দায় আমাদের অনেক কস্ট হয়। প্রচন্ড গরমে ফ্যান নেই। তারপরও আমরা কস্ট করে ক্লাস করি।
এ ব্যাপারে সহকারি শিক্ষক সুমন মিয়া ও শরিফুন্নাহার বলেন, আমাদের পাশের ভবনটি দীর্ঘদিনযাবৎ বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরায় তিনটি ক্লাসরুম বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে বারান্দায় ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাস নিতে হয়। তাদের যে পড়াশোনার পরিবেশ সেটা আমরা দিতে পারি না। প্রচন্ড গরম। ফ্যান নেই। একটি বেঞ্চে সাত থেকে আটজন শিক্ষার্থী বসতে হয়। এতে ছাত্র-ছাত্রীরতো কস্ট হয় বরং আমাদেরও অনেক কষ্ট হয়।
এ বিষয় প্রধান শিক্ষক ছাদেরকুর বলেন, আমাদের পূর্বপাশের ভবনটি প্রায় তিন বছর যাবৎ অকেজোবস্থায় পড়ে আছে। বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। বর্তমানের নতুন ভবনের বারান্দায় ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশ নিতে হচ্ছে। তাদের লেখা পড়ায় খুব কষ্ট হচ্ছে বলে আমি মনে করি। কর্তৃপক্ষ একটি নতুন ভবন করে দিলে শিশুদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশের বিষয়টি পুরোপুরি স্থান পাবে।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান, আমাদের করিমগঞ্জ উপজেলায় ১২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ স্কুলই মেরামতের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে তেমন কোন বরাদ্ধ আসছে না। আগামী অর্থবছরে বরাদ্ধের পরিমাণ বেশি হলে আমরা প্রত্যেকটি স্কুলকেই মেরামত করে গুছিয়ে নিতে পারব।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh