রংপুরের বদরগঞ্জে মাথাবিহীন নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় বাদী হয়েছেন নিহত আসমার ভাই তালেব হোসেন শুক্রবার (১২সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বদরগঞ্জ থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে শনিবার সকালে উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের জাম্বুরমোড় এলাকার একটি জঙ্গল থেকে ওই নারীর মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিহত আসমার জন্মস্থান নীলফামারীর জল ঢাকা উপজেলার দক্ষিণ দেশিবাই এলাকার আরজি কাঁঠালি গ্রামে। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হক। তিনি ছিলেন মানসিক রোগী। কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্রে তার নাম বাংলায় আসমা বেগম বেগম এবং ইরেজি-তে আসুমা বেগম উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া বাবার নাম আসাদুল হক বলা হয়েছে। তার ঠিকানা দেখানো হয়েছে জলঢাকার মীরগঞ্জ এলাকার রাঙ্গামাটি এলাকায়। মামলায় এ তথ্যকে ভুল তথ্য উল্লেখ করে বলা হয় তার মানসিক সমস্যার কারণে এটি হয়েছে। যা পরবর্তীতে সংশোধন করা হয়নি। এছাড়া তার প্রথমে বিয়ে হয় জলঢাকা উপজেলার খুটামারি এলাকার মোকলেছুর রহমানের সাথে। সেখানে তার দু’টি সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিচ্ছেদ ঘটলে আসমার দ্বিতীয় বিয়ে হয় তৈয়বুর রহমান ওরফে টুলু নামে এক ব্যক্তির সাথে। সেখানেও তার দু’টি সন্তান রয়েছে। কিন্তু মাঝে মাঝে তার মানসিক সমস্যা প্রকট হলে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আবার দু’/তিন মাস পর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। সর্বশেষ তিনি মাস দু’য়েক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর বৃহস্পতিবার তার মাথাবিহীন গলিত মরদেহ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের যমুনেশ্বরী নদীর জলুবর চরের কাশবন থেকে উদ্ধার করা হয়। মামলায় আরো বলা হয়েছে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর পরিচয়বিহীন করতে মাথা বিচ্ছিন্ন করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই নারীর বিচ্ছিন্ন মাথা কালুপাড়া ইউনিয়নের জাম্বুরমোড় এলাকার একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে ওসি মন্তব্য করেন।