সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সড়কটি গত প্রায় ৬ মাস ধরে জলাবদ্ধ হয়ে আছে। ইতোমধ্যেই পানি দুর্গন্ধ বের হচ্ছে, মশার প্রজনের উৎকৃষ্ট আবাসস্থল হয়ে উঠেছে। দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে এ সমস্যা সমাধানের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেও কোন সুফল মেলেনি। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ফরিদগঞ্জ বালিকা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলের সড়কটি পুরোটা অংশজুড়েই ময়লা নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে মশার লার্ভা রয়েছে। মশা প্রজননের উৎকৃষ্ট ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। এ বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (ইউআরসি)। যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও গুণগত মান উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে।
ফলে পুরো উপজেলার শিক্ষকদেরও এই পথ মাড়িয়েই প্রতিনিয়ত আসতে হয়। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে সড়কটি পুরোপুরি চলাচল অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী আরিফ, সাইফুল, আমেনা স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের এই নোংরা পানি উপর দিয়ে বাধ্য হয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসতে হয়। আমাদের ভালো লাগে না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, এই সড়কে বিগত সময়ে বর্ষার সময়ে পানি উঠলেও পাইপ দিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই নেমে যেতো। কিন্তু গত প্রায় ৬ মাস ধরে স্কুলের একমাত্র রাস্তাটি নোংরা পানিতে পরিপুর্ণ, পানি নেমে যাওয়ার বিকল্প পথগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই স্কুলে আসা যাওয়া করছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিকট এই সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন করা হলেও তারা এখনো পানি নিষ্কাষণ ও রাস্তা উঁচু করণের কোন পদক্ষেপ নেয় নি।
বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ও সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আফতাবুল ইসলাম জানান, আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নিবে বলেছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শিরিন সুলতানা জানান, এই বিষয়টি আমরা শিক্ষা কমিটির সভায় উঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ সুফিয়ান খান জানান, পৌর প্রশাসকের সাথে স্কুলের সড়কটির বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।