বান্দরবানের রুমায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরে লালচে দাগ ও হাড়-গোড় ব্যথা”—এগুলো ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণ। আবার বারবার জ্বর, শীত-ঠান্ডা লাগা, প্রচণ্ড দুর্বলতা-এসব ম্যালেরিয়ার লক্ষণ। সাম্প্রতিক সময়ে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকে।
এদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাসপাতাল আঙ্গিনায় জঙ্গল কেটে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। পাশাপাশি বটতলী পাড়া, বাগান পাড়া,মংশৈপ্রু পাড়া, আমতলী পাড়া ও কৈক্ষ্যংঝিড়ি এলাকায় দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ঘুরে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ক্ষতি ও জমে থাকা পানিতে মশার প্রজননের ঝুঁকি সম্পর্কে জানানো হয়।
কর্মসূচিতে ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির কর্মচারী, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মী এবং রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তফা রুবেল বলেন, “ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া হলে প্রথমে সাধারণ জ্বর ভেবে অবহেলা করা হয়। কিন্তু এ অবহেলা প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই জ্বর হলে অবশ্যই দ্রুত পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিতে হবে। একইসঙ্গে ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা ছাড়া বিকল্প নেই।” রুমা সদর ইউনিয়নের মহিলা সদস্য ক্রাসাউ মারমা বলেন, “ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে। সবাই নিজ নিজ বাড়ি ও পরিবেশ পরিষ্কার রাখলে এ রোগের প্রকোপ অনেকটাই কমে যাবে।”
অভিযান নিয়ে সাধারণ মানুষও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। বটতলী পাড়ার স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, “পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ খুবই দরকার ছিল। আগে এখানে ময়লা পড়ে থাকত, এখন পরিষ্কার হচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। এবং গ্রামের রাস্তা আসে পাশে ও পরিস্কার করে গেছেন।
কৈক্ষ্যংঝিড়ি এলাকার মো. বেলাল বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের যেভাবে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের নিয়মগুলো বুঝিয়ে দিয়েছে, এতে আমরা অনেক সচেতন হয়েছি। আশা করি এই ধরনের উদ্যোগ চলতে থাকবে বলে আশা করেন তিনি। ডেঙ্গু প্রতিরোধের অংশ হিসেবে ব্র্যাকের স্বাস্থ্য কর্মসূচি পঞ্চম দিনের মতো এই কর্মসূচি পালন করছে। আয়োজকরা বলেন, মানুষ সচেতন হলে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।