ঝরে পড়া শিশুদের স্কুলগামী করতে শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা। রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় চর, দ্বীপচর, প্রত্যন্ত এলাকায় ২ হাজার ৭৬০টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ১ লাখ ১০ হাজার ৫২০ জন প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের স্কুল পরবর্তী সময়ে বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। আর এতে করে অভিজ্ঞ শিক্ষকের সহযোগিতা পেয়ে শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর এনজিও ফোরাম মিলনায়তনে আশার উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
আশা’র বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এস এম বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আশা’র সহকারী পরিচালক নাহিদ খান, রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোনাব্বর হোসেন মনা, সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলীসহ অন্যরা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মো. হারুনার রশিদ সেখ।
সভায় জানানো হয়, গেল অর্থবছরে আশা রংপুর বিভাগে ৬ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আশা ১১০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি দরিদ্র পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, বিভাগের ১৮৪টি ব্রাঞ্চে ২ হাজার ৭৬০টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে এক লক্ষ ১০ হাজার ৫২০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়তা প্রদান করে আসছে আশা।
এছাড়াও, তিনটি ব্রাঞ্চে সমন্বিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ১০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও রংপুর শহরে একটি ফিজিওথেরাপি সেন্টারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন এবং সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্য নিয়ে ভবিষ্যতে এসব কার্যক্রম অব্যহত রাখার কথা জানিয়েছে আশা।