ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী হাওড়া নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষকদল ও শ্রমিক দলের কয়েক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে খলাপাড়া ব্রিজ এলাকায় খলাপাড়া, ছয়ঘড়িয়া, শান্তিপুর, জয়নগর ও আদমপুর এলাকার শত শত নারী-পুরুষ অবৈধভাবে ভালো উত্তোলন ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. নান্নু মিয়া, মোগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমান মোল্লা, সাবেক সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল কায়ুম, সাবেক ইউপি সদস্য শহীদ মিয়া, বর্তমান ইউপি সদস্য মো. তাজুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশারসহ আরও অনেকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আমজাদ খান, সদস্য সচিব বাহাদুর হোসেন তিতাস এবং উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব ওমর ফারুক দাবি করেন, তারা হাওড়া নদীর বালু ও মাটি কাটার ইজারা নিয়েছেন। গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) খলাপাড়া এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে তারা বালু উত্তোলন শুরু করলে স্থানীয় জমির মালিক ও গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে বাধা দেন।
খবর পেয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমা (ইউএনও) বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় এলাকাবাসী তার নিকট জানতে চান এ বিষয়ে কোনো সরকারি অনুমোদন আছে কি না। ইউএনও জানান, বিষয়টি তার জানা নেই এবং এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। একইসাথে তিনি বাহাদুর হোসেন তিতাসকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, ইউএনওর নির্দেশ অমান্য করে বাহাদুর হোসেন তিতাস ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক বালু ও মাটি উত্তোলনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এতে নদীর তীরবর্তী মানুষের বসতবাড়ি ও কৃষিজমি মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এছাড়া এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সঙ্গে উত্তোলনকারীদের সংঘর্ষ ও দাঙ্গার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
মোগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নান্নু মিয়া জানান, প্রতিবছর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজানের ঢলে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে নদীপাড়ের মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে এখন আবার ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন শুরু হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব বাহাদুর হোসেন তিতাস বলেন, হাওড়া নদীর বালু মহাল সরকারিভাবে ইজারার জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছিল। কোন লোক অংশগ্রহণ না করায় পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কাছে আমি খাস কালেকশনের মাধ্যমে আমাকে দেওয়ার জন্য আবেদন করি। সরকারি সকল নিয়ম-কানুন মেনে আমাকে দেওয়া হয়। আমি নিয়ম মেনেই নদী থেকে বালু উত্তোলন এবং সরকারি জায়গা থেকে মাটি কাটছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh