জামালপুর মেলান্দহ উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মাদারগঞ্জের গুনারীতলা ইউনিয়নের কানিপাড়া গ্রামের উশনিতা ওয়াজেদের (২০) মরদেহ। এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হওয়া এই নারীর মৃত্যু ঘিরে দেখা দিয়েছে রহস্য। ঘটনার পর থেকে স্বামী রবিন পলাতক, আটক করা হয়েছে শ্বশুর রইচ উদ্দিন ও শাশুড়ীকে। পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যা।
জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে মেলান্দহ উপজেলার মধ্যেরচর গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে রবিনের সাথে উশনিতার বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকে উশনিতাকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন স্বামী রবিন।
পারিবারিকভাবে একাধিকবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। উশনিতার মা-বাবার অভিযোগ, মেয়েটিকে নিয়মিত নির্যাতন করা হতো এবং এক পর্যায়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২০সেপ্টেম্বর) রাত ৪টার দিকে উশনিতার শ্বশুরবাড়ি থেকে তার বাবার বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় উশনিতা আত্মহত্যা করেছেন।
খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান মেলান্দহে। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন, উশনিতার মরদেহে আত্মহত্যার কোনও চিহ্ন নেই। বরং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে দাবি করেন তারা।
খবর পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মেলান্দহ থানা পুলিশ বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে। স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ঘটনার পর ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।