ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে কর্মরত এক রাশিয়ান নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৮টার দিকে শহরের জিগাতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তির নাম কারপোভ ক্রিল (২৬)। তিনি রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএম কোম্পানিতে ১০ এপ্রিল ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে যোগদান করেন।
ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আফজাল হোসেন বলেন, কারপোভ ক্রিল জিগাতলা এলাকার চিকিৎসক আনোয়ার হোসেনের বাড়ির পঞ্চম তলার ৫০৪নং ফ্ল্যাটে থাকতেন। কারপোভ ক্রিলের পরিবারের সদস্যরা রাশিয়া থেকে তার মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তারা বিষয়টি কোম্পানির সিকিউরিটি অফিসারকে জানান। সিকিউরিটি অফিসার দোভাষী এবং পাশের ফ্ল্যাটে থাকা আরেক রাশিয়ান নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় ক্রিলকে বিছানার ওপর উপুড় হয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে রাশিয়ান চিকিৎসক মিখাইল এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভাড়া বাসার সিকিউরিটি গার্ড আব্দুল রব জানান, কারপোভ ক্রিল ঢাকা চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার তিনি ঢাকা থেকে চিকিৎসা শেষে তিনি এই বাসায় আসেন। এরপর থেকে তিনি আর বাসা থেকে বাইরে বের হন নাই। সন্ধ্যায় রাশিয়ানদের সিকিউরিটি অফিসার রুমের দরজা ভেঙে বিছানার ওপর উপুড় হয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ানদের চিকিৎসককে খবর দিলে তিনি ফ্লাটে এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে কর্মরত রাশিয়ান নাগরিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে সি আই ডি ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই রাশিয়ান নাগরিক ব্রেন স্ট্রোকে মারা যেতে পারেন। কয়েক দিন আগে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।” তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে।