কুমিল্লার হোমনায় চারটি মাজার ও বসতঘরে আগুনসহ ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হওয়ার ৭২ ঘণ্টার পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার সকালে আছাদপুর এলাকা থেকে মো. ইব্রাহিম, মো. শহীদুল্লাহ নামের দুজনকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের ভাষ্য, জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত ইব্রাহিম মোহাম্মদ আনু মিয়ার ছেলে ও আব্দুল আউয়ালের ছেলে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে আপত্তিকর পোস্টকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে উপজেলার আছাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে এ হামলা হয়। এতে চারটি মাজার ভাঙচুর ও বসতঘর সহ অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। ঘটনার দিন রাতে হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২২শ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রবিবার বিকেলে জানান, আমরা দুজন ব্যক্তিকে আটক করেছি, পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে ৪টি মাজারে হামলা চালানো হয়েছে মাজারগুলো হলো আসাদপুর গ্রামের কফিল উদ্দিন শাহের মাজার, আবদু শাহের মাজার, কালাই (কানু) শাহের মাজার ও হাওয়ালি শাহের মাজার। এদিকে খোদেদাউদপুর লেংটা শাহ মাজারে হামলা করে স্থানীয় তৌহিদ জনতা।
স্থানীয়রা জানান, কফিল উদ্দিন শাহের ছেলে আলেক শাহের নাতি মহসিনের বিরুদ্ধে গত বুধবার সকালে ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর উত্তেজনা ছড়ায়। প্রথমে মহসিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কফিল উদ্দিন শাহের মাজার ভাঙচুর করা হয়।
পরে দ্বিতীয় দফায় একটি টিনশেড ও দুটি টিনের বসতঘর ভেঙে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে অন্য আরও ৪টি মাজারেও হামলা চালানো হয়।