মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঝুমা রানী দাস নামে এক গৃহবধূরর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিজ বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ঝুমা রানী দাস বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদিগা গ্রামের ফ্রান্স প্রবাসী রুপন দাসের স্ত্রী।
নিহতের ভাসুর জানান,গত সোমবার সকাল ১১ টার দিকে নিহতের স্বামী সহ পরিবারের সবাই মৌলভীবাজার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। নিহত ঝুমা রানী দাস তাদের সাথে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু শারিরীক অসুস্থ থাকার কারণে তিনি যাননি। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো শেষে পরিবারের সবাই মৌলভীবাজারে দূর্গাপূজার জন্য কেনাকাটা করছিলেন। বাড়িতে নিহত ঝুমা রানী সহ অন্যান্য মহিলারা একসাথে দুপুরের খাবার শেষে ঝুমা রানী নিজের ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর এক মহিলা ঝুমা রানীর কক্ষে এসে দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেতে থাকেন। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তিনি ঘরের এদিক ওদিক ছুটতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজায় জোরে ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায় তখন ঝুমা রানী দাসকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকা অবস্থায় দেখে চিৎকার করেন এবং আমাদেরকে ফোন করে জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এসময় নিহতের হাতে থাকা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। চিরকুটে লিখা ছিল,‘‘ আমার স্বামী অনেক ভালো মানুষ। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার মেয়ের দিকে খেয়াল রাখার জন্য”। চিরকুটের লেখা নিহতের হাতের লেখা বলে সনাক্ত করেছেন নিহতের ভাই। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে। তবে কী কারণে ঝুমা আত্মহত্যা করেছেন তা পরিষ্কার নয়।
বড়লেখা থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা আজ বুধবার জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের হাতে থাকা চিরকুটের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।