“বাবা ফিরবে টাকা পাঠাবে, ঋণ শোধ করবে”-এ আশাতেই অপেক্ষায় ছিল পরিবার। কিন্তু সেই বাবাই ফিরলেন লাশ হয়ে। ৭ লাখ টাকার ঋণের চাপ মাথায় নিয়েই পরপারে পাড়ি জমালেন মাদারগঞ্জের প্রবাসী শ্রমিক মো: সামিউল ইসলাম।
জানা গেছে, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম জটিয়ারপাড়া, সালাবান্দা গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে সামিউল ইসলাম দীর্ঘ ৯ বছর ধরে কুয়েতে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছিলেন। জীবিকার তাগিদে বিদেশে গিয়েছিলেন তিনি। প্রবাসে কঠোর পরিশ্রম করে স্ত্রী, এক ছেলে ও ১৮ বছরের এক মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতেন। একই সঙ্গে ৭ লাখ টাকা ঋণের বোঝা শোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
কিন্তু গত ১১ সেপ্টেম্বর বাসায় স্ট্রোক করলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ৯ দিন আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত ২০ সেপ্টেম্বর নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তার মরদেহ দেশে এসে পৌঁছালে গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পশ্চিম জটিয়ারপাড়া ছালাবান্দা এলাকা। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী ও সন্তানরা। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে পরিবার এখন দিশেহারা। ঋণের বোঝা আর সংসারের ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, সামিউল ছিলেন পরিশ্রমী, সহজ-সরল ও শান্ত স্বভাবের মানুষ। তার অকাল মৃত্যু শুধু পরিবার নয়, পুরো এলাকাকেই শোকে মুহ্যমান করে তুলেছে।