করোনাভাইরাস প্রকোপ কমে আসায় এবারের ঈদের সময় প্রতিদিন গড়ে
৩০ লাখ মানুষ গ্রামের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক জরিপে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
বুয়েটের দুর্ঘটনা ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো.
হাদিউজ্জামান বলেন, দেশের
পরিবহন ব্যবস্থায় দিনে ১৬ লাখ যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। বাকি ১৪ লাখ মানুষকে
ঈদযাত্রা করতে হবে বিকল্প উপায়ে। আর সেই বিকল্প উপায় হলো- বাস, ট্রেন বা
লঞ্চের ছাদ বা ট্রাকে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে;
অর্থাৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
রোববার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা
রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঈদযাত্রায় অসহনীয় যানজট, পথে পথে যাত্রী
হয়রানি, অতিরিক্ত
ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের’ দাবিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি
আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জরিপের এ তথ্য তুলে ধরে হাদিউজ্জামান বলেন, প্রতিদিন ১৬
লাখ যাত্রী স্বাভাবিকভাবেই গণপরিবহনে ঈদযাত্রা করতে পারবেন। এর মধ্যে বাসে আট লাখ, ট্রেনে এক লাখ, লঞ্চে এক লাখ
২৫ হাজার, মোটরসাইকেল
তিন লাখ এবং ব্যক্তিগত গাড়িতে তিন লাখ মানুষ যেতে পারবে। কিন্তু ১৪ লাখ যাত্রী
কোনো যানবাহন পাবেন না। ফলে তারা বিকল্প উপায়ে যাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী
বলেন, করোনার
প্রকোপ কমে যাওয়ার কারণে এবারের ঈদে প্রায় দ্বিগুণ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে।
এবারের ঈদে ঢাকা থেকে এক কোটির বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে।
এছাড়াও এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরো প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ যাতায়াত করতে পারে। এতে
আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত ঈদবাজার,
গ্রামের বাড়ি যাতায়াতসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিববহনে বাড়তি
প্রায় ৬০ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।
এজন্য প্রয়োজন বাড়তি নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ
সতর্কতা, সব
পথের প্রতিটি যানবাহনের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করা। কিন্তু যানজট ও নানা
অব্যবস্থাপনার কারণে গণপরিবহনে সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের
ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি হতে পারে বলেও জানান তিনি।