দুর্গাপূজা শুরুর আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। শহর থেকে গ্রাম, পাড়া-মহল্লা সর্বত্র লেগেছে উৎসবের আমেজ। পূজার আনন্দঘন পরিবেশকে রাঙাতে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রমে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। শেষ আঁচড়ের ছোঁয়ায় দেবী দুর্গা প্রতিমায় ফুটে উঠছে জীবন্ত রূপ। সীতাকুন্ড উপজেলার ৭১টি মঠ-মন্দিরে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। শিল্পীর রঙ-তুলির জাদুতে প্রতিমা সাজানো হচ্ছে মহালয়া থেকেই। এখন চলছে শাড়ি ও গহনায় দেবীকে অলঙ্কৃত করার শেষ কর্মযজ্ঞ। পৌরসদরের তিনটি কারখানায় প্রখ্যাত মৃৎশিল্পীদের যাদুকরী হাতে সাঁজানো প্রতিমা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন ভক্তরা।
কারিগর নিতাই পাল জানান, “সীতাকুন্ডের প্রতিমার সুনাম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রয়েছে। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে সমুদ্রের কাদামাটি, বাঁশ-খড় ও নানা মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়। অনেক শ্রম ও সাধনার ফসলেই জীবন্ত হয়ে ওঠে দেবী দুর্গা।”
মা প্রতিমা শিল্পালয়ের মালিক আদিত্য আচার্য জানান, প্রতিমা তৈরির ব্যয় ১৫-৫০ হাজার টাকা হলেও বাজারে ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিমা বিক্রি হয়। পূজা উদযাপনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। প্রতিটি মঠ-মন্দির চাইছে দৃষ্টিনন্দন প্রতিমার মাধ্যমে ভক্তদের হৃদয় জয় করতে। তবে শিল্পীরা বলছেন, অর্থ উপার্জনের চেয়ে তাদের কাছে প্রশংসা ও কৃতিত্বই মুখ্য।
এদিকে পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আনসার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী নজরদারি চালাবে বলে জানিয়েছেন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কনক চৌধুরী।