× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

যুবদলকর্মী হত্যা নিয়ে রহস্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৮ পিএম

কক্সবাজারের মহেশখালীতে যুবদল কর্মী শাহাদাত হোসেন দোয়েল খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহত পরিবার। দোয়েলের বড় ভাই লোকমান সাংবাদিকদের বলেন, তুচ্ছ কোন চুরির ঘটনায় পুলিশ সাংবাদিক ডেকে বিবৃতি দেয়, অথচ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের পর নীরব ভূমিকা গ্রহণ করেছে পুলিশ। দোয়েল হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনি সাদ্দামকে গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশংসনীয় হলেও, শুধু আসামি ধরলেই দায়িত্ব শেষ হয় না, হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করাও জরুরি।

লোকমান আরও অভিযোগ করেন, হত্যার প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করলেও পরবর্তীতে আসামি পরিবারের স্বজনদের প্রভাব ও যোগসাজশে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হয়। সরাসরি থানার ওসির সখ্যতা থাকতে পারে বলে মনে করছেন নিহতের পরিবার। তার দাবি, খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে কোনো তৎপরতা চালায়নি পুলিশ। এটি আমাদের জন্য গভীর হতাশার। তিনি বলেন, পুলিশি তৎপরতার সীমাবদ্ধতার কারণে হত্যার প্রকৃত রহস্য আড়াল হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে কঠিন করে তুলতে পারে।

নিহতের স্ত্রী জুলেখা বেগমের অভিযোগও প্রায় একই। তিনি জানান, পুলিশের মাধ্যমে সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হলেও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। শুধু আসামি গ্রেপ্তার যথেষ্ট নয়, বরং খুনের মূল রহস্য উদঘাটনে অস্ত্র উদ্ধারের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত বড় হত্যাকাণ্ডে পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এমন নীরব ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করছে তদন্তের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে।

জুলেখা বেগম আরও বলেন, এ হত্যার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকলেও পুলিশ তাদের ধরতে উদ্যোগী হয়নি। মামলায় নাম থাকা আসামিরা খোলা আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতারের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা চাই শুধু সাদ্দাম নয়, এই হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি, পুলিশের উচিত এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত চিত্র জনসম্মুখে তুলে ধরা।

প্রসঙ্গত, গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রচার হলেও মুলত প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়া কিলার হিসেবে সন্ত্রাসী সাদ্দামের গুলিতে প্রাণ হারান শাহাদাত হোসেন দোয়েল। তবে হামলায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা অংশ নিয়েছে বলে দাবী নিহতের পরিবারের। নিহত দোয়েল কালারমারছড়া মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা খউস্বর ঘোষ্টির তৎকালীন জমিদার মরহুম খায়রুল্লাহ মাতাব্বরের নাতী মৃত ফজলুল হকের পুত্র এবং দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। 

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জুলেখা বেগম বাদী হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খুনি সাদ্দামকে প্রধান আসামি করে জুলাই অভ্যুথানে নিহত শহীদ তানভীর ছিদ্দিকী হত্যা মামলার আসামী গডফাদার নোমান শরীফকে ২ নং আসামী করে নয়জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। খুনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করে সাদ্দামকে আদালতে পাঠালেও, খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। তাছাড়া গণমাধ্যমের সামনে কোনো তথ্য প্রকাশ না করে পুলিশ নীরব থেকেছে, যা পরিবার ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সচেতন মহল বলছে, এমন নীরবতা হত্যার তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ছে।

মহেশখালী থানার ওসি মঞ্জুরুল হক জানান, হত্যায় জড়িত প্রধান আসামী সাদ্দামকে পুলিশক গ্রেপ্তার করেছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্র বিষয়টি স্বীকার করতে পারে। তখন অস্ত্রটি উদ্ধার হবে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.