রংপুর-৩ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসে ফুঁসে উঠেছেন নগরবাসী। রংপুর সদরের প্রাণকেন্দ্র থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ৯ নম্বর ওয়ার্ড রংপুর-৩ আসন থেকে কেটে রংপুর-১ আসনে যুক্ত করার স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি উঠেছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডবাসী নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে এ দাবি জানান।
আন্দোলনকারীরা সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডকে সদর আসনে পুনর্বহালের দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম দেওয়ানী, এলাকাবাসী আহসান হাবিব লিমন, আলমগীর শাহীনসহ অন্যরা।
এসময় বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে রংপুর সিটি করপোররেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডকে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি করপোরেশন) আসনে যুক্ত করেছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে এ আসনের প্রাণকেন্দ্র হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের এ গেজেটকে প্রত্যাখ্যান করেছে এলাকাবাসী। রংপুর সদরের প্রাণকেন্দ্র থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরবর্তী ৯নং ওয়ার্ডকে রংপুর-১ আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্তকে এলাকাবাসীর স্বার্থবিরোধী বলে উল্লেখ করেন।
সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, রংপুর সদর আসনে সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ড অধিভুক্ত থাকবে। অথচ ২০১২ সালে হঠাৎ করে রংপুর-১ আসনে সিটি কর্পোরেশনের ৮টি ওয়ার্ড যুক্ত করা হয়। সর্বশেষ সিটি বৃহত্তর ৯ নম্বর ওয়ার্ডকে যুক্ত করা হয়েছে রংপুর-১ আসনে। যেখানে এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মাত্র ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সদরের প্রাণকেন্দ্রে গিয়ে সেবা নিতে পারবে, সেই জায়গায় তারা কেন ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রংপুর-১ আসনে সেবা নিতে যাবে।
ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি শেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলামকে স্মারকলিপি দেয় এলাকাবাসী।