× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: নার্সের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, প্রতিবেদন জমা

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম । আপডেটঃ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত।

কুমিল্লার হোমনার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেই দুই সেবিকার (নার্স) বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। নিহত প্রসূতী স্বপ্না আক্তারের (২০) এর বোন আকলিমা আক্তার ৯ আগস্ট হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর দুই নার্সের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও টাকা দাবির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগটির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জন অফিসে প্রেরণ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গত ৩১ আগস্ট কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ সরফরাজ হোসেন খানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে গেল ২ ই সেপ্টেম্বর তদন্ত শেষে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটিরা।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলো, দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি কন্সালটেন্ট ডাক্তার সুষ্মিতা শাহা ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা পাবলিক হেলথের জেষ্ঠ্য সেবিকা (নার্স) ইসমাত জাহান লুভনা।

অভিযোগে জানা যায়, ২৮ জুলাই হোমনা উপজেলা আছাদপুর ইউনিয়ন চিৎপুর গ্রামের আবদুল মতিনের মেয়ে স্বপ্না আক্তার (২০) প্রসব কালীন ব্যাথা নিয়ে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে দায়িত্ব প্রাপ্ত দুই সেবিকা (নার্স) নাসরিন জাহান ও লিলি খাতুন রোগীর স্বজনদের নিকট ৫ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা না দেয়ায় রোগীর সাথে অমানবিক আচরণ করে ও টানা-হেঁচড়া করে রোগীর যৌনাঙ্গ ছিঁড়ে ডেলিভারি করে।

এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে আর্থিক দৈন্যতা, রক্তের অভাব ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা না পেয়ে আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুদিন পর রোগীর মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক মাধ্যমে নার্সেদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে সামাজিক প্রতিবাদের ঝড় উঠলে গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।

তবে তদন্ত কমিটির প্রধান তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সরফরাজ হোসেন খান তদন্ত বিষয়ে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রমানসহ তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও হাসপাতালে ডেলিভারি জটিল রোগীর ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে বলে জানান। রোগীর স্বজনরা বাড়ীতে দীর্ঘ সময় নরমালের চেষ্টা ও হাসপাতালে নার্সগণ সিনিয়রদের পরামর্শ ছাড়া তরিগড়ি করে নরমালের চেষ্টাও ছিলো এবং তদন্তে এমন তথ্য পান বলে জানান।

কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহম্মদ মুঠোফোনে জানান, নার্সদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে যে পাওয়া গেছে, তা নার্সিং ও মিডওয়াইফ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.