ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইকবাল কবীরকে দ্বিতীয় দফায় বদলির আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। গত মঙ্গলবার জারি করা অফিস আদেশে তাকে নলছিটি থেকে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় বদলি করা হয়। এর আগে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পরে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর গত বছর সেপ্টেম্বরে তার বদলির আদেশ জারি হলেও সেটি কার্যকর হয়নি। অভিযোগ রয়েছে বর্তমান সরকারে এক প্রভাবশালী উপদেষ্টার আত্মীয়ের প্রভাবে সেই আদেশ স্থগিত হয়ে যায় এবং তিনি নলছিটিতেই থেকে যান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল কবীর ২০২০ সালে নলছিটিতে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করেছেন। আওয়ামীদের ঠিকাদারের কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল উত্তোলন করে দিতেন এ অসাধু কর্মকর্তা।
সেসময় তার অফিসে বসে ঘুষ গ্রহনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এসব বিষয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পরও তিনি স্বৈরাচার সরকারের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা সাবেক এমপি আমির হোসেন আমুর ছত্রছায়ায় পদে বহাল ছিলেন। এখনো তিনি আওয়ামী ঠিকাদারদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিজেই সামলান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার বদলি আদেশ জারি হওয়ার পর উপজেলাবাসীর জনমনে স্বস্তি প্রকাশ করেন। তবে নলছিটিতে বহাল থাকতে ফের দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এবারও লবিংয়ের মাধ্যমে বদলির সিদ্ধান্ত ভেস্তে যেতে পারে। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এই আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হইল এবং অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
তবে নলছিটি এলাকায় এখনো আলোচনা চলছে এই বদলি আদেশ কার্যকর হবে নাকি আগের মতোই প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্যে থেকে যাবেন তিনি। ঝালকাঠি এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যেই বদলির আদেশ পেয়েছি। খুব শিগগিরই নিয়ম অনুযায়ী তাকে রিলিজ করা হবে।